সকালে অমনি বৃন্দা ঠাকুরাণী
আইল ললিতা বাস।
কহিলা সকলি কানুর বিকলি
মধুর বিনয় ভাষ।।
শুনিয়া ললিতা মনে পাই বেথা
দুজনে চলিলা ধাই।
সজল নয়ানে মলিন বয়ানে
যেখানে বসিয়া রাই।।
ললিতা যাইয়া তারে উঠাইয়া
করিলা আপন কোরে।
আপন বসন অঞ্চলে তখন
মোছয়ে নয়নলোরে।।
তুহুঁ রসবতী জগতে খেয়াতি
রূপে গুণে নাহি সীমা।
সে বহু-বল্লভ আনের দুর্ল্লভ
জানিয়া না দেহ ক্ষেমা।।
শত গুণ যার এক দোষ তার
ছাড়িতে উচিত হয়।
সে তার কারণে কান্দায় কাননে
এ কবিশেখর কয়।।