সপন দেখিয়া রাধার বরণ
ভাবয়ে রসিক রায়।
অতি সদুখিত হইলা বেকত
কিছুই নাহিক ভায়।।
সে বর নাগর গুণের সাগর
ভাবিতে রাধার রূপ ।
বিরহ উঠল তৈখন হইল
বিসম লেঠার কুপ।।
পুরুব পিরিতি মনে পড়ি গেল
সম্বিত না লয়ে চিতে।
মধুর মুরুলি বদনে লইয়া
আকুল করল গিতে।।
“রাধা রাধা রাধা তুমি অনুরাধা
দিয়া সে দরশ আসা।
পুন গেলা কতি রাই রসবতি
পাইলা এ ফল ভাসা।।”
খেনে খেনে খেনে মুরুলির গানে
সঙ্কেত বলিয়া বাজে।
মথুরা নাগরী শুনিয়া মুরলী
তাহারা দেখিতে সাজে।।
তা দেখি অধিক মনে পড়ি গেল
পুরুব রসের কেলি।
অধিক বিরহ তাথে উপজল
হৃদয় ভিতর জারি।।
তাথে এক নব রামার সুঠান
তার নাম কহে রাধা।
সে কথা জখন শুনল শ্রবণে
তাহে ভেল অনুরাধা।।
“বৃখভানুসুতা সে বা রহে কোথা”
ঐছন উঠল চিতে।
“তার না[ম] রাধা গোকুল-নগরে
সে মোর পরাণ রিতে।”
সেই সে বিরহ উঠয়ে দিগুন
চির স্থির নাহি মানে।
মুদিয়া নয়ন কাঁপয়ে বয়ান
দীন চণ্ডীদাস ভণে।।