সময় জানিয়া তুরিত হইয়া
আসিয়া ধনিষ্ঠা নারী।
যশোদামন্দিরে পিঁঢ়ার উপরে
সুখদ আসন করি।।
সুগন্ধি সলিল করিয়া শীতল
পূরিয়া আনল ঝারি।
রাইয়ের পক্বান্ন আনিয়া তখন
রাখল পৃথক করি।।
এ সূপ মুদ্‌গ মরিচা সুখদ
যে কিছু আছিল ঘরে।
যশোদাবচনে আনিল তখনে
কানুর ভোজন তরে।।
সিনান করিয়া বলাই হাসিয়া
চলিলা আপন ঘরে।
কানুর বচন না মানে তখন
বারুণীপানের তরে।।
হাসিয়া তখনে সুখদ আসনে
বসিলা বাদর রায়।
মায়ের পিরীতে লাগিলা ভুঞ্জিতে
তুলসী করয়ে বায়।।
জননী বিনয়ে শুনায় তনয়ে
আর না বলিব কি।
তোমার কারণ এ সব পক্বান্ন
পাঠায় রাজার ঝি।।
অরুচি তেজিয়া ভোজন করিয়া
ঘুচাহ সভার দুখ।
তোমার ভোজন শুনিয়া তখন
রাধিকা পাওব সুখ।।
মায়ের বচনে নান্দের নন্দন
ভুঞ্জল পরম সুখে।
উঠি আচমন করল যতনে
তাম্বুল দেওল মুখে।।
কানুর বদন নেহারে সঘন
ধনিষ্ঠা চতুরী বালা।
ইঙ্গিত বুঝিয়া চতুর নাগর
দেওল চম্পকমালা।।
সঙ্কেত জানিয়া ধনিষ্ঠা আনিয়া
দেওল তুলসী করে।
অবশেষে লইয়া থালিতে ভরিয়া
দেওল রাইএর তরে।।
সে সব লইয়া তুলসী চলিয়া
তুরিতে আওল ঘরে।
থালা মালা তথি তুলসী যুবতী
সোঁপল রাধার করে।।
সঙ্কেত কাহিনী বুঝিলা তরুণী
চম্পকমালাটি দেখি।
তাম্বূল বীড়িকা দেয়লি রাধিকা
তুষিল সকল সখি।।
নানা রসগান করি সখীগণ
চলিলা আপন ঘরে।
সময় জানিয়া থালা-মালা লৈয়া
শেখর গোপন করে।।