“সুখের সায়রে রসের সায়রে
প্রেমের সায়র-মাঝে।
মথন করিল জত দেবগণ
সেই সে ফলের কাজে।।
এ তিন সায়রে এ তিন আখর
এহেন সম্পদ-ধনে।
যতন করিয়া শূলপাণি পাসে
রাখিল মনের সনে।।”
এ কথা শুনিঞা বৈকুণ্ঠ-ঈশ্বর
হাসিতে লাগল পুন।
“দেখি কোথা পাল্যে মরম পিরিতি
গোলোক সম্পদ হেন।।”
মহাদেব পানে চাহে দেবগণে
কটাক্ষ ইঙ্গিত-রসে।
বুঝি মহাদেব এহেন সম্পদ
দিলা সে গোবিন্দ-পাশে ।
পিরিতি মরম কাহু না বাটল
এমন পিরিতি সুখে।
কর পরশিয়া পিরিতি লইয়া
ভাঙ্গিল আপন মুখে।।
দেখি দেবগণ ভাবে মনে মন
‘কাহু না দেয়ল হরি!’
চণ্ডিদাস বলে– গোবিন্দ -গোচরে
পুছিতে লাগল বেরি।।