“সেই মুনি সেই হরিণী-ছাওয়াল
রাখল সে মুনিবরে।
প্রতিদিন দিন ভক্ষণ সেবন
করয়ে অবহি হেলে।।
কত দিন রই সেই মৃগশিশু
পাইয়া হরিণী-সঙ্গ।
আন বনে গেলা রতি-রসসুখে
করিতে রসের সঙ্গ।।
না দেখি সেই মৃগী বড়ই বিয়োগী
মুনির হইল শোক।
‘হরিণী, হরিণ’,– ক্ষণে অনুক্ষণ
পাইয়া বিয়ো-রোগ।।
যবে সেই মুনি– কাল উপস্থিত
হরিণ-ধেয়ানে মরে।
হরিণ হইল আনহি জনমে
দুখ হল মৃগবরে।।
যারে যেবা ভাবে তারে তাহা লবে
মরিলে পাইব তোমা।
আনহি জনমে পাইব সঘনে
কানাই ভেয়ের প্রেমা।।”
চণ্ডীদাস কহে– “রসতত্ত্বকথা
শুনিতে নাগর কান।
হেটমাথে রহে বচন না কহে
উঠল বিরহ-মান।।”