সেই যে মন্দিরে শুতলি কিশোরী
কিছু হয়ে এক মনে।
পুরুব পীরিতি যখন করিল
কালিয়া কানুর সনে।।
বন্ধুর চূড়ার মাণিক পুতলি
পুরুবে পড়িয়াছিল।
সেই সে পুতলি যতন করিয়া
সম্মুখে রাখিয়া দিল।।
সেই সে মাণিক পুতলি দেখিয়া
সে নব সুন্দরী রাই।
নিজ কোরে করি মান উপজল
কুরঙ্গ নয়নে চাই।।
আপন নীলের বসন দেখিয়া
কানু পড়ি গেল মনে।
বিষম বিরহ উপজিল অতি
কিছুই নাহিক মনে।।
ধরণী উপরে পড়ল সুন্দরী
চিত্রের পুতলি হেন।
ধূলাএ ধূসরি নবীন কিশোরী
সোনার প্রতিমা যেন।।
লোরে ঢল ঢল বহিয়া চলিল
সঙরি পিয়ার গুণে।
পুরুব পীরিতি সুখের আরতি
সে সব পড়িল মনে।।
নয়নের জল বহে অনিবার
তিতঁল অঙ্গের চীর।
চণ্ডিদাস বলে– ধৈরজ ধরহ
ক্ষেণে চিত কর থির।।