সে যে ব্রজেশ্বরী না জানে চাতুরী
পরম উদার সেহ।
যখন যা বলে তখনি তা ভুলে
সভারে সমান লেহ।।
হেদে গো আরিজা মা।
সে জন আমারে পাঠাইল সত্বরে
দেখিতে তোমার পা।।ধ্রু।।
চুল খড় ধরি দশন উপরি
যে সব কহিল রাণী।
সে সব শুনিতে হেন লয় চিতে
পাষাণ গলয়ে জানি।।
মাসীর চরণে কহিবে বচনে
গোপতে আনিবে বহু।
অলখিত পথে আসিবে তুরিতে
যেমতে না দেখে কেহু।।
শুনিয়া মিনতি উলসি জরতী
চলিলা রাইয়ের ঘরে।
কুন্দতাকরে সোঁপিয়া বধূরে
রাণীরে আশিস্ করে।।
রাইকর লৈয়া নিজ শিরে দিয়া
কহয়ে কাতর বোল।
কুলের ধরম পুতের সরম
সকল রাখবি মোর।।
যশোদাতনয় না মানে বিনয়
তাহারে আমার ডর।
নিভৃতে কেতনে আসিবে যতনে
যাহাতে না হাসে পর।।
কুন্দলতা কহে তুমি দেবী মোহে
চরণ পরশি তোর।
শেখরের ঠাঞি কোন ডর নাই
এ বড় ভরসা মোর।।