সো বর নাগর কান।
নিশির শয়নে দেখিল সপনে
সুবল আয়ল ঠাম।।
“সুনহ সুবল, কি আজু দেখল
সো বর রঙ্গিনী রাই।
গোকু[ল] হইতে, আইলা তুরিতে
স্বপনে দেখিল যেই।।
পুরুব পিরিতি সুখের আরতি
অতি সে কৌতুক-রসে।
রাই করে ধরি বসাই সে বেরি
করই অনেক বেশে।।
রাইয়ের কুন্তল বনাই সুন্দর
মাখাই কুসুম-গন্ধে।
নানা ফুলদাম অতি অনুপাম
দুসারি বকুল ছান্দে।।
মুকুতা গাঁথিয়া দুপাশে খেচনি
দিয়া মাণিকের চুনি।
কুন্তল বেনান অতি সুসোভন
যেমন দেখল ফণি।।
সিথায়ে সিন্দূর অতি বিলক্ষণ
চৌদিকে চন্দনবিন্দু।
তা দেখি আকাশে লজ্জিত হইলা
লাখে সসোধর বিন্দু।।
গলে গজমোতি কিবা সে সুভাতি
কাঁচলি উপরে পড়ে।
সোনার কাঁচলি দুধারে মুকুতা
গাঁথি পরায়ল তারে।।
দেখ অদভুত যেমন দামিনী
চটকে অগোরের ঘটা।
নিতম্বে সোনার ঘুঘুর দিয়াছে
কি কহিব তার ছটা।।
নিল বাস অতি উঢ়নি সুন্দর
ধরিয়া আপন করে।
রতন নুপূর দেয়লি সুন্দর–”
চণ্ডীদাস ইহা ভনে।।