হরস হইঞা হরি জায়ে লঞা
মুখে পাছু পানে চাএ ।
দুষ্ট কংস-ভয়ে হেন মনে লএ
জেমন পাছেতে ধাএ ।।
“রক্ষ রক্ষ, প্রভু দেব হৃষীকেশ,
সঙ্কট না হএ জিছে ।
গোকুল জাবত না জাই বেকত
খেমা কর প্রভু তৈছে ।।”
এই মনে মনে ভাবিঞা নিদানে
রাশে চলিঞা জাএ ।
গোলক-ইশ্বর ভাবিল অন্তর
মন্দ মন্দ বৃষ্টি গাএ ।।
বসুদেব-কোলে প্রভু বিশ্বম্ভরে
প্রবেশি জমুনা কুলে ।
জমুনা-তরঙ্গ দেখে বসুদেব
পরাণ উঠিল হেলে ।।
গদাধর কোলে দান্ডাই কুলে
ভাবে বসুদেব রায় ।
“কি বুদ্ধি করিব পরিলুঁ সঙ্কটে”
ভাবিলা অভিপ্রায় ।।
জমুনা-তরঙ্গ দেখি বসুদেব
বিস্মিত হইলা মনে ।
“পার হঞা জাব কেমন প্রকার
এই জমুনার বানে ।।”
চিন্তিত দেখিআ প্রভু ভগবান
ভয়া করিল ধ্যান ।
জানিঞা অন্তরে শৈলসুতা দেখি
আসি হরি বিদ্যমান ।।
কহিতে লাগল প্রভু ভগবান
“বসুদেব মোর পিতা ।
নন্দঘোষ-ঘরে আমারে রাখিতে
লইঞা জাবেন ওথা ।।
জমুনা-তরঙ্গ দেখি বসুদেব
আমারে লইঞা কোলে ।
জাইতে না পারে রহি এই ধারে”
দিন চন্ডিদাস বলে ।।