হেথা রাধা বিনোদিনী রমণীর শিরোমণি
কাঁদিতে কাঁদিতে সেই পথে।
প্রিয় সহচরী সনে চলে সখী অন্বেষণে
বড়ই হইল অনুরথে।।
বিরহে আকুল ধনী আর যত গোপিনী
সেই বনে প্রবেশিল গিয়া।
দেখিল চরণচিহ্ন বিহি পদ আছে শূন্য
তার কাছে কাছে আরসিয়া।।
“রমণীর পদ আছে সে পদের কাছে কাছে
ঐ দেখ নয়ন চাহিয়া।
এই দেখ গুণমণি আনিয়া বা কোন ধনী
বেশ কৈল হরষ হইয়া।।
তার চিহ্ন দেখ আরে সিন্দূর দেওল তারে
পত্রে মথি পরাইল ভালে।
সেই পত্র ঐ দেখ কাজলের আছে রেখ
সুবেশ করল কুতূহলে।।
চন্দন দিয়াছে অঙ্গে তার চিহ্ন দেখ রঙ্গে
এই দেখ তাহার নিশান।”
নয়ন আগুন হয়ে বদনে বসন লয়ে
অতি বড় উঠি গেল মান।।
“তুলিয়া বনের ফুলে বেশ বনাইল ভালে
এই দেখ কুসুম তুলিয়া।
এই বৃক্ষ-লতা ধরি কুসুম ভাঙ্গল হরি
তার চিহ্ন দেখ না আসিয়া।।
তা দেখিয়া অনুরাগী বিরহ উঠিল আগি
কোন রামা এল কৃষ্ণ লয়ে।”
চণ্ডীদাস কহে জানি সঙ্গে লয়ে গোপধনী
তবে কানু গেছেন ছাড়িয়ে ।।