“হেদে গো চেতনী বুড়া আহীরিণী
ঝাড়হ লতার ছলে।
কি জানি দংশিল আসি কোন ঘাতে
জানি বিষ করে বলে।।
দেহ পানীপড়া কর নাড়া ঝাড়া
যদি বা ছুইল অঙ্গ।
বান্ধহ ধরণী শুন গোয়ালিনী
তিলেক না কর ভঙ্গ ।।
ঝাড়হ চৌসাপা বলি ধর্ম্মবাপা
চন্দ্র সূর্য্য করি মেলা।
নিদান বিধান পানীসার আন
ঝাড়হ আমার বালা।।”
তথাপি না হয়ে তিলেক চেতন
তৈছন রহল রাই।
পানীসার জলে নাহি বিষ জালে
নাহি সংবরণ পাই।।
নানা সে উপায় ঝাড়িল সবাই
না হয় কণ্ঠহি বোল।
মুদিত নয়ান বয়ান বচন
মরমে আছয়ে ভোর।।
কোন সহচরী চামর ঢুলায়
শীতল বলিয়া গায়।
সরোরুহ দল আনি বিছাওল
রাই শুতাওল তায়।।
মলয় চন্দন করয়ে লেপন
শীতল হইবে বলি।
অঙ্গে উঠে জ্বালা শুকাইছে ত্বরা
গরল সমান ভেলি।।
বহু তন্ত্র মন্ত্র করিল বন্ধন
চেতন নাহিক মানি।
এ কথা কেহ যে জানিতে না পারে
চণ্ডীদাস কিছু জানি ।।