হেদে হে নন্দের সুত কে তোমায়
করিলে মহাদানী।
দণ্ডে কাচ নানা কাচ না ছাড় রমণীপাছ
বুঝালে না বুঝ হিতবাণী।।ধ্রু।।
শুনিয়াছি শিশুকালে পূতনা বধেছ হেলে
তৃণাবর্তের লয়েছ পরাণ।
এখনি নন্দের বাড়ি দেখিয়াছি গড়াগড়ি
এখনি সাধিতে আইলা দান।।
কাড়ি নিব পীতধড়া আউলাইয়া ফেলিব চূড়া
বাঁশীটি ভাসাইয়া দিব জলে।
কুবোল বলিবা যদি মাথায় ঢালিব দধি
বসিতে না দিব তরুতলে।।
মোহন চাতুরী করি বাঁশীতে সন্ধান পূরি
বুকে হান মনমথবাণ।
রমণীমণ্ডলী করি আভরণ নিব কাড়ি
ভালমতে সাধাইব দান।।
রাখাল বর্বর জাতি গোঠে ফির দিবারাতি
মহিষ গোধন বৎস লইয়া।
কুলবধূ সনে হাস ইথে নাহি লাজ বাস
জ্ঞানদাস কংসে দিবে কইয়া।।