হেদে হে পরাণ-বন্ধু, ফিরিয়া না চাহ একবার।
পাসরি সে সব সুখ উলটি না চাহ মুখ
বড় নহে মহিমা তোমার।।
আগু পাছু না গণিয়া সে ধনী করম খেয়া
প্রেম করে পরের পুরুষে।
পরিণামে পায় দুখ কখন নাহিক সুখ
আগম পাথারে পড়ে শেষে।
কহিবার কথা নয় কহিলে কি জানি হয়
হাতে চাঁদ দিল হাসি হাসি।
পড়ে বা না পড়ে মনে বসন লইল দিনে
কদম্ব-তরুর তলে বসি।।
সে সব করিয়া সত্য তাহার নাহিক নত্য (?)
বড় জনার এ বড় পীরিতি।
হাসি র চেয়ে কথা মরমে মরমে ব্যথা
কত বার পাঠাইতে দূতী।।
এখন করম-ফলে বিহি নহে অনুকূলে
পতিকুলে যে করিল ধাতা।
সে জন পরের বশ সে কি জানে আন রস
কহিতে হিয়ায় হয় ব্যাথা।।
কারে সে করিব রোষ সকল আমার দোষ
সেই দোষ ফলে এত দিনে।
না চাহ ফিরিয়া নাথ সকল তোমার হাত
ছাড় নাথ মথুরা-গমনে।।”
এত বলি বিনোদিনী ধূলায় ধূসর ধনী
আভরণ দূরেতে ফেলায়
বিকল বরজ-ধ্বানি মুখে না নিঃসরে বাণী
চণ্ডীদাস মূরছি লোটায়।।