“হেদে হে সুবল সখা আচম্বিতে দিল দেখা
চিত্রের পুতলি হেন বাসি।
কিবা সে অঙ্গের ভঙ্গী কনক পুতলি রঙ্গী
মন্দ মধুর কৈল হাসি।।
সে কথা পড়িল মনে আমার মরমে জানে
কুটিল নয়ন কর বাঁকা।
দেখিতে তাহার রঙ্গ অবশ করিল অঙ্গ
শুন ভাই মরমের সখা।।
সে হইতে তনু মোর মদনে হইল ভোর
প্রাণ মোর স্থির নাহি মানে।
তোমারে কহিল এহ বিচার করিয়া কহ
বেদনা কহিল তোর স্থানে।।”
হাসিয়া সুবল কয়— “শুন তুয়া রসময়,
রসিক নাগরী দিব আনি।
তবে সে আমার নাম সুবল বলিয়া গান (?)
নিসন্দে জানিহ তুমি।।”
কালিয়া নাগর কহে— “সকলি কহিল তোহে
মরম সরম সব কথা।
বুঝিয়া যে কর তুমি কি আর বলিব আমি
বড়ই হইল হিয়ার বেথা।।”
“ভাল, ভাল,” বলি কহে আতি স্নেহ প্রেমমোহে
“চল ভাই নিজ ঘরে যাই।”
সুবল সংহতি যাই নন্দের মন্দিরে আই
দীন ক্ষীণ চণ্ডীদাস গাই।।