তড়িৎ বরণী হরিণী নয়নী
দেখিনু আঙ্গিনা মাঝে।
কিবা সে দিয়া অমিয়া ছানিয়া
গড়িল কোন বা রাজে।।
সই, কিবা সে সুন্দর রূপ।
চাহিতে চাহিতে পশি গেল চিতে
বড়ই রসের কূপ।।
সোনার কটোরি কুচযুগ গিরি
কনক-মন্দির লাগে।
তাহার উপর চূড়াটি বনালে
সে আর অধিক ভাগে।।
কে এমন কারিগর বনাইলে ঘর
দেখিতে না পানু তারে।
দেখিতে পাইথু শিরোপা দিথ
এমতি মন যে করে।।
ঐছন মন্দিরে শয়ন করয়ে
সে মেনে নাগর কে ।
হৃদয়ে আছিল বেকত হইল
দেখিতে পাইনু সে।।
হিয়ার মালা যৌবন ডালা
পশারী পশারল যেন।
চাঁদ যে কাটিয়া চাকা যে গড়িয়া
তাহাতে বৈসাল হেন।।
অধর-সুধা পড়িছে জুদা
দশন-মুকুতা শশী।
মোর মনে হয় এমতি করয়
তাহাতে যাইয়া পশি।
চণ্ডীদাসে কয় ও কথা কি হয়
মরম কহিলে বটে।
আর কার কাছে কহ যদি পাছে
তবে সে কুৎসা রটে।।