একে গিরি গোবর্দ্ধন তাহে সুশোভন বন
তাহে আর চান্দনিয়া রাতি।
মণ্ডলীর চারি পাশে বিচিত্র বন্ধনে ভাসে
নানাবর্ণে শিলা পাঁতি পাঁতি।।
হেরি হেরি দুহুঁজন অতি উলসিত মন
পরম মোহন নৃত্য করে।
অঙ্গ শোভা মনোরম আন আন নিরখণ
অন্তরে আনন্দ নাহি ধরে।।
রসভরে দুহুঁ কায় ঢলিয়া ঢলিয়া যায়
শিথিলিত ভৈ গেল ছরমে।
দুহুঁক রাতুল আঁখি লোহিত ললিত পাখি
মুখশশী তিতিল ঘরমে।।
দুহুঁক সঙ্গেতে হাসে সখী মিলি দুহুঁ পাশে
তছু কান্ধে ভুজ আরোপিয়া।
স্বচ্ছন্দ খলিত পায় লঘুতর চলি যায়
ধৈরজ ধরিতে নারে হিয়া।।
চারি পাশে পরিজন করে নানা সুসেবন
দুহুঁ অঙ্গ ভঙ্গী নিরখিয়া।
কেহ গন্ধ দেই গায় কেহু কেহু মন্দ বায়
কেহু চলে ফুল বরষিয়া।।
কেহু বা কাহুকে কহে আর নৃত্য ভাল নহে
রসভরে আলুইল দুহুঁ।
গাওনি বাওনি রাখ আপন ছরম ভাখ
তাহা শুনি দুহুঁজন রহু।।
কেহু বোলে ভাল ভাল এই সে উদ্যোগ সার
তুরিতে করিয়ে আর কাজ।
কোমল কুসুম আনি বিরচহ শেজখানি
যাহাঁ হয়ে দুহুঁক বিরাজ।।
হেনই সময়ে কবে কাহুকে ইঙ্গিত হবে
এ হেন সেবনে নিযোজনে।
চৈতন্য চরণ দাস কৃষ্ণকান্ত পূর্ণ আশ
পরম দুর্ল্লভ এই ধনে।।