যমুনা কিনারে

কাঁচুলির কড়ি দশ লাখ নিব

”কাঁচুলির কড়ি দশ লাখ নিব
হারের বিংশতি লক্ষ।
নয়ানের কোণে আছে কত ধন
বঙ্কিম যার কটাক্ষ।।
নিতম্ব মণ্ডল সাত লাখ নিব
নূপুর সহস্র পর।।
* * * অমূল্য রতন
যাহার নাহিক ওর।।
নীলবাস পর শোভিত সুন্দর
ইহা বা কিসের লেখা।
দশ লাখ নিব কে তোমা রাখিব
পেয়েছি তোমার দেখা।।
কিঙ্কিণী নূপুর কোটি লাখ নিব
যাহার উপমা নাই।
যত হয় লেখা নাহি যার রাখা
লইব তোমার ঠাঁই।।”
এত শুনি রাধা কহে আধা আধা
বসিয়া নাগর পাশে।
এত কিবা সহে দানের বিচার
কহে দ্বিজ চণ্ডীদাস।।

অন্তঃকথন:
পদটি দান পর্যায়ভুক্ত। 'কাঁচুলির জন্য দশ লাখ লাগবে, হারের জন্য বিশ লক্ষ। নয়নের কোণে বঙ্কিম কটাক্ষ কত যে সম্পদ আছে। নিতম্ব মণ্ডলের জন্য সাত লক্ষ নেব। নূপুর সহস্র। ..... এমন অমূল্য রতনের কোনো তুলনা নেই। সুন্দর শোভার নীলবাস - এর জন্য কত লিখব,দশ লক্ষ নেব। কে তোমায় রক্ষা করবে, এখন তোমার দেখা পেয়েছি। এমন অপরূপা অতুলনীয় কিঙ্কিনী, নূপুরের জন্য কোটি লক্ষ নেব। যত লেখা হয়, তা আর রাখা যায় না। তোমার আশ্রয় নেব।' এত শুনে রাধা নাগরের পাশে বসে আধো আধো কথা বলতে লাগল। দ্বিজ চণ্ডীদাস বলেন, 'দানের এত বিচার কি সহ্য হয় ?'

পদকর্তা:চণ্ডীদাস
রাগ:বাড়ারি
তাল:অজ্ঞাত
সংকলন:মুনমুন ঘোষ

সন্ধিনী