কানুরে পিরিতি কুহকের রীতি
সকলি মিছা রঙ্গ।
দড়াদড়ি লয়ে গ্রামেতে চড়িয়ে
ফিরয়ে করিয়ে সঙ্গ।।
সই কানু বড় জানে বাজি।
বাঁশ বংশী ধরি মদন সঙ্গে করি
ঢোলক ঢালক সাজি।।
মদন ঢুলিয়া বেড়ায় ফিরিয়া
যুবতী বাহির করে।
দুইটি গুটিকা লুফিয়া ফেলায়ে
বুকের উপরে ধরে।।
দড়ায়ে পায়ে উঠয়ে তাহে
থাকি থাকি দেই ঝোঁকে ।
ধীরি ধীরি যায় ভঙ্গী করে তায়
রঙ্গ দেখে সব লোকে।।
পূরাটি আনিয়া ডিমটি খুলিয়া
দেখায় যাহাকে তাকে।
উড়াইয়া দিযা পূরাটি ঝরিয়া
ঝুলির ভিতরে রাখে।।
মুকুতা প্রবাল উগারে সকল
আর বহুমূল্য হীরা।
একবার আসি উগারয়ে রাশি
নাচিয়া বেড়ায় ফিরা।।
কতক্ষণ বই হাতে বাঁশ লই
যুবতী হিয়ায় গাড়ে।
জীঙ্গে জাঙ্গে দিয়া পায়েতে ছাঁদিয়া
রাইএর অঙ্গিনায় পড়ে।
বাঁশের উপরে ঝুলিয়া পড়য়ে
হেলিয়া যুবতীমুখে।
মুখে মুখ দিয়া নেছে গুয়া দিয়া
ঘুরিয়া বুলয়ে সুখে।।
এ মদ মদন জানিয়া কদন
তারে ডাকে আঁখির ঠারে।
মোর মনোহিত নহে কদাচিত
ফুকারী ডাকয়ে তারে।।
লোক নহে রাজি কেমন এ বাজি
রমণী বুলাবার তরে।
চণ্ডীদাস কয় বাজি মিছা নয়
রঙ্গ কে বুঝিতে পারে।।