কিবা সে কুণ্ডের শোভা রাই-কানু-মনো-লোভা
চারি দিগে শোভে চারু ঘাট।
নানা-মণি রত্ন-ছটা অপূর্ব্ব বরণ-ঘটা
ফটিক-মণিতে বান্ধা বাট।।
প্রতি পথের দুই-পাশে মাণিকের কুটীর আছে
রতন-মণ্ডপ তার মাঝে।
বৃক্ষ-চারা ঘাটে ঘাটে শোভে জল সন্নিকটে
দুই দুই রত্ন-বেদী সাজে।।
কুণ্ডের দক্ষিণ-ভাগে চম্পকের তরু-আগে
রতন-হিন্দোলা মণিময়।
পূর্ব্বেতে কদম্ব-মালা নানা-মণি-রত্ন-শালা
বৃক্ষ-শ্রেণী পুষ্প বরিষয়।।
পশ্চিমে রসাল-তরু তাহাতে হিন্দোলা চারু
উত্তরে বকুল রত্ন-দোলা।
অষ্ট দিগে অষ্ট কুঞ্জ সখী-নামে রস-পুঞ্জ
যাতে রাধা কানু মন ভোলা।।
চারি বর্ণের পদ্ম জলে তাহে মধুকর বোলে
কুমুদ-কহ্লার শোভা করে।
হংস সারস ডাকে ডাহুকিনী চক্রবাকে
ধ্বনি করি কানু মন হরে।।
সুবলের সনে কৃষ্ণ কুণ্ড-শোভা দেখি তুষ্ট
রাধা লাগি করয়ে বিষাদ।
মোহন প্রবোধে তাই এখনি আসিবে রাই
দূরে যাবে সব পরমাদ।।