জননী বিদায় করি গোষ্ঠেতে চলিলা হরি
কহয়ে শুনহ আরে ভাই।
না যাইব কোন মাঠে চল সভে গিরিতটে
হাঁকাইয়া দেহ সব গাই।।

গোবিন্দকুণ্ডের জল মনোহর সুশীতল
তৃণ সব আছে সুকোমল।
তাহে ধেনু নিয়োজিয়া খেলিব বুলিব যাঞা
দেখিব কেমন গিরিতল।।

শুনিয়া বলাই সুখে শিঙ্গা দিয়া চাঁদমুখে
ধবলী শাঙলী বলি ডাকে।
পিশঙ্গী মাণিকস্তনী বলি ডাকে গুণমণি
ধেনু সব চালাইল হাকে।।

কেহ নাচে কেহ গায় কেহ বৎস পাছে ধায়
ঘাঘর নূপুর করে ধ্বনি।
কুরঙ্গঅঙ্গনা যত তারা ভেল উনমত
ধাওল সে সব শব্দ শুনি।।

উচ্চ কর্ণ উচ্চ পুচ্ছ ঘূর্ণিত নয়ন বৎস
ধাইয়া পশিলা গোবর্ধনে।
রাম দামোদর সঙ্গে ধায় শিশু সেই রঙ্গে
ধেনু ফিরাইল জনে জনে।।

রাম কহে আরে ভাই এখানে চরুক গাই
আইস ভাই সবে করি খেলা।
তৃণে নিয়োজিয়া ধেনু খেলা খেলে রাম কানু
সকল রাখাল হইয়া মেলা।।

কানু বোলে আরে ভাই খেলা খেল এই ঠাঁই
আসি অমি কানন দেখিয়া।
থাকিবে ভাইয়ার কাছে কেহো কোথা যাও পাছে
গিলিবেক অসুরে ধাইয়া।।

শিশু পশু নিয়োজিয়া সুবল মঙ্গল লৈয়া
বাহির হইলা নটরায়।
কুসুম সরসীকূলে বসিয়া কদম্বমূলে
সময়ে শেখর রস গায়।।