“ধিক্ ধিক্ ধিক্ নিঠুর কালিয়া
কে তোরে এ বুদ্ধি দিল।
কেবা সেধেছিল পীরিতি করিতে
মনে যদি এত ছিল।।
ধিক্ ধিক্ ধিক্ নিঠুর কালিয়া
লাজের নাহিক লেশ।
এক দেশে এলি অনল জ্বালায়ে
জ্বালাইতে আর দেশ।।
জনম অবধি কালিয়া বদন
না ধুলি লাজের ঘাটে হে।
ব্রজ-গোপী হতে মথুরা-নাগরী
কত রূপে গুণে বটে হে।।
কিংবা কুবুজা নামে কুবুজিনী
তেঞি সে লেগেছে মনে।
আপনি যেমন ত্রিভঙ্গ মুরারি
বিহি মিলাইতে জেনে।।
কিংবা কুবুজা গুণে গুণবতী
গুণেতে করেছে বশ।
পীরিতি সুখের কি জানে যজিতে
কিবা সে রেখেছে যশ।।
যতেক তোমারে পীরিতি করুক
তেমন পারিতি হবে না ।
রাধানাথ বিনে কুবুজার নাথ
কেহ তো তোমারে কবে না।।
কি আর কহিব মনের বেদনা
কহিতে যে দুখ পাই।”
চণ্ডীদাস কহে– “কহিতে বেদনা
পরাণ ফাটিয়া যায়।।”