“বঁধু কি আর বলিব আমি।
জনমে জনমে জীবনে মরণে
প্রাণপতি হবে তুমি।।
বহু পুণ্যফলে গৌরী আরাধিয়ে
পাইলুঁ কামনা করি।
না জানি কি ক্ষণে দেখা তব সনে
তেঁই সে পরাণে মরি।।
বড় শুভক্ষণে তোমা হেন নিধি
বিধি মিলায়ল আনি।
পরাণ হইতে শত শত গুণে
অধিক করিয়া মানি।।
আনের আছয়ে আন জন যত
আমার পরাণ তুমি।
তোমার চরণ শীতল জানিয়া
শরণ লইয়াছি আমি।।
গুরু গরবিত তারা বলে কত
সে সব গৌরব বাসি।
তোমার কারণে এতেক সহিলুঁ
দুকুলে হইল হাসি।।”
কহে চণ্ডীদাস– “শুন সুনাগর,
রাধার আরতি রাখ।
পীরিতি-রসের চূড়ামণি হয়া
রসেতে রসিয়া থাক।।