বিচিত্র আসনে বসিলা সঘনে
রন্ধন করিলা তায়।
ভোজন করিল অতি বিলক্ষণ
আচমন করি তায়।।
আচমন করি বিচিত্র পালঙ্কে
শুতল অক্রূর রায়।
কর্পূর তাম্বূল আনল মধুর
নন্দ যোগাইল তায়।।
তবে পুছে বাণী– “কহ কহ শুনি,
কেন বা আইলে ইথে।
কহ সমাচার কি হেতু বেভার”
অক্রূর বলেন তাথে।।
“ধনুর্ম্ময় যজ্ঞ করে নরপতি
শুন নন্দঘোষ রায়।
কৃষ্ণ বলরাম দু’জনে লইতে
আইল, আরতি তায়।।
মোরে পাঠাইল গোকুল-নগরে
লইতে এ দুই ভাই।”
শুনিতে নন্দের হিয়া দরদর
আঁধার নামিল তাই।
‘কি বোল বলিলে !’ যেমন বজর
পড়িল নন্দের মুণ্ডে।
যেমন আকাশ কুলিশ পড়ল
শুনিতে তাহার তুণ্ডে।।
চণ্ডীদাস বলে– “আর কি বাঁচিব
গোকুলে গোপীর প্রাণ।
বিফল করল সকল অথির
ছাড়ব নাগর কান।।”