বাশুলী কহিছে শুন হে দ্বিজ।
কহিব তোমারে সাধন-বীজ।।
প্রথম দুয়ারে মদের গতি।
দ্বিতীয় দুয়ারে আসক স্থিতি।।
তৃতীয় দুয়ারে কন্দর্প রয়।
কন্দর্প রূপেতে শ্রীকৃষ্ণ কয়।।
আসক রূপেতে শ্রীরাধা কই।
মদরূপ ধরি আমি সে হই।।
সাতাশী আঁখরে সাধিবে তিনে।
একত্র করিয়া আপন মনে।।
রতির আকৃতি আসক রয়।
রসের আকৃতি কন্দর্প হয়।।
তিনটি আঁখরে রতিকে যজি।
পঞ্চম আঁখরে বাণকে ভজি।।
দ্বিতীয় আসকে সামান্য রতি।
তবে সে পাইবে বিশেষ স্থিতি।।
চতুর্থ আঁখর সামান্য রস।
তাহাতে কিশোরা কিশোরী বশ।।
বাশুলী কহয়ে এই সে সার।
এ রস-সমুদ্র বেদান্ত পার।।