ব্রহ্ম আত্মা ভগবান যারে সর্ব্ব শাস্ত্রে গান
দেবা-দেবী বন্দিত চরণ।
যোগী যতি সদা ধ্যায় তমু যারে নাহি পায়
বন্দোঁ সেই শচীর নন্দন।।
নিজ ভক্তি আস্বাদন সর্ব্ব ধর্ম্মসংস্থাপন
সাধুত্রাণ পাষণ্ডদলন।
ইত্যাদি কার্য্যের তরে শচীজগন্নাথ ঘরে
নবদ্বীপে লভিলা জনম।।
প্রতপ্ত নির্ম্মল স্বর্ণ- পুঞ্জ গঞ্জি গৌরবর্ণ
গৌরাঙ্গ সুন্দর রূপধাম।
জিনি রক্তপদ্মদল শ্রীপদযুগলতল
দশাঙ্গুলি শোভে অনুপাম।।
শারদশশীর ঘটা নিন্দি দশনখছটা
তুঙ্গ গুল্ফ জঙ্ঘা মনোহর।
সুবর্ণ সম্পুটাকার জানু যুগ্ম রূপাধার
রম্ভারুচি চারু ঊরু স্থল।।
প্রসর নিতম্বস্থল তাহে শুক্ল পট্টম্বর
কাঁকালি কেশরী জিনি খীণ।
অশ্বত্থপত্রে হেন উদর বলনি যেন
বক্ষদেশ তুঙ্গ অতি পীন।।
জানুদেশ বিলম্বিত হেমার্গল সুবলিত
বাহুযুগ অঙ্গদভূষিত।
করতল সুরাতুল জিনিয়া জবার ফুল
মাধুরীতে ভুবন মোহিত।।
দশনখচন্দ্র আগে শুক্লবর্ণ মূলভাগে
দশ অর্দ্ধচন্দ্রের আকার।
সিংহগ্রীব তিনরেখা তাহাতে দিয়াছে দেখা
অধর বন্ধুকপুষ্পাকার।।
সুবর্ণদর্পণ জিতি গণ্ডস্থল যুগাকৃতি
মুক্তাপাঁতি জিনি দন্তাবলি।
নাসাতিলপুষ্প জনু ভুর যুগ কামধনু
সালক সুন্দরালিকস্থলী।।
অমল কমল আঁখি তারা যেন ভৃঙ্গপাখী
অনুরাগে অরুণ সজল।
কামের কামানগুণ শ্রুতিযুগ সুগঠন
তাহে শোভে মকরকুণ্ডল।।
স্নিগ্ধ সূক্ষ্ম বক্র শ্যাম কুন্তল লাবণ্যধাম
নানা ফুলমণ্ডল সাজনি।
বদনকমলে হাস কোটি কলানিধিভাস
কুন্দবৃন্দ করিয়ে নিছনি।।
ভুবনমোহন অঙ্গ তাহে নটবরভঙ্গ
নৃত্যকৃত্য ভৃত্য গানকলা।
দুবাহু তুলিয়া যবে ভাবভরে ফিরে তবে
উঠে যেন অনন্ত চপলা।।
এইরূপ দেখে যেই ধর্ম্মাধর্ম্ম ছাড়ে সেই
প্রবেশয়ে পরম আনন্দে।
প্রেমদাস জীব দেহ ধর্ম্মাধর্ম্ম ছাড়ে সেহ
গুণ শুনি গৌরপদদ্বন্দ্বে।।