ভাবোল্লাসে ধনী বঁধুরে পাইয়া
ভাবে গদ গদ কয়।
ব্রজ-পীরিতের প্রদীপ জ্বালিয়ে
দীপ কি নিভাতে হয়।।
কালিয়া কুটিল স্বভাব তোমার
কপট পীরিতি যত।
ভূরু নাচাইয়ে মুচকি হাসিয়ে
অবলা ভুলাইলে কত।।
পীরিতি-রসের রসিক বোলাও
পীরিতি বুঝিতে নার।
মথুরা নগরের যত নাগরীর
পীরিতের ধর ধার।।
শুন গিরিধারী মথুরা বিহারী
নারী-বধে নাহি ভয়।
পীরিতি করিয়ে তোমারে ভজিলে
শেষে কি এই দশা হয়।।
পীরিতি করিলে কেন দগধিলে
বিরহ-বেদনা দিয়ে।
কালিয়া কঠিন দয়াহীন জন
তোর নিদারুণ হিয়ে।।
সোই রসিকতা পীরিতি মমতা
সমতা হইলে রাখে।
পীরিতি রতন রসের গঠন
কুটিলাতে নাহি থাকে।।
পীরিতির দায় প্রাণ ছাড়া যায়
পীরিতি ছাড়িতে নায়ে।
পীরিতি-রসের পসরা তা কি
রাখালে বহিতে পারে।।
যে জনা রসিক রসে ঢর ঢর
মরমী যে জন হয়।
হেরে রে রে করে ধবলী চরায়
সে জনা রসিক নয়।।
রসিকের রীতি সহজ সরল
রাখালে তাই কি জানে।
চণ্ডীদাস কহে রাধার গঞ্জনা
সুধা সম কানু মানে।।