মুনিগণ যারে ভাবে নিরন্তরে
অনন্ত সহস্র মুখে।
সে জন না পায় মহিমা অপার
আন কি জানিব লোকে।।
ধন্য সে গোকুল- নগর সকল
সদাই দেখয়ে কানু।
ধন্য সে যশোদা ধন্য সে গোপিনী
সঁপিল আপন তনু।।
ব্রজবাসী বালা ভাল পেয়ে মেলা
কানাই সঙ্গেতে খেলে।
‘ভাই, ভাই’–বলি কাঁধে করে লয়ে
চরায় ধেনুর পালে।।
না জানে লোকেতে গোলোক-ঈশ্বর
বিহরে গোলোকপতি।
নয়ন ভরিয়া চাঁদ মুখ দেখে
আনন্দে এ দিনরাতি।।
স্নেহভাবে সেই নন্দযশোমতী
করিয়া বালক-ভাব।
পতিভাবে গোপী পীরিতি করিয়া
তার শেষে হরি লাভ।।
কানাই রাখাল করিয়া মানল
গোকুলপুরের লোক।
কৃষ্ণরূপ হেরি আনন্দে বিহরে
নাহি কোন দুখ শোক।।
চণ্ডীদাস আশ করে পদতলে
তাহার কণিকা পেতে।
মন নহে ভাল চিত্ত নহে দঢ়
কেমনে-পাইবে তাথে।