রসেতে আবেশ হয়ে শ্যামচাঁদের মুখ চেয়ে
কহিছেন রসবতী রাধা।
ধর মোর বেশ ধর আপন আঁচরে ভর
করের মুরলী রাখ বাঁধা।।
হারিলে বেশর দিব জিনিলে মুরলী নিব
আর নিব তোমার হাতের বাঁশী।
তোমারে জিনিয়া লব আপন হৃদয়ে থোব
নতুবা হইব তোমার দাসী।।
শ্যাম কহে হাসি হাসি আমার মোহন বাঁশী
পাষাণ বিদরে যার গানে।
কত গুণের বাঁশী মোর কত ধনের বেশর তোর
সমান করহ কোন গুণে।।
রাই কহে শুন শ্যাম বেশর যাহার নাম
দোলয়ে নাসিকা মুখমাঝে।
যার রূপে মুখ আলা আপনি ভুলেছ কালা
হেন ধন নিন্দ কোন লাজে।।
তোমার বাঁশীর গানে বধিল অবলা প্রাণে
এবে সে ঠেকেছ রাধার হাতে।
চণ্ডীদাসেতে কয় বাঁশী গেলে প্রাণ রয়
খল বাঁশী না রাখিহ হাতে।।