রাই কহে–“শুন কে জানে পীরিতি
আরতি রসের লেহ ।
আর কেবা জানে রসের মাধুরী
বুঝিতে পারয়ে কেহ।।
পীরিতি আঁখারে সে জন পূরিত
কিছু কিছু জানে সেহ।
রসের রসিক রসে আরোপিত
সেই সে জানয়ে লেহ।।
কোন কুলরামা পীরিতি না জানে
সে জন আছয়ে ভাল।
আমি সে পীরিতি করিয়া মজিলুঁ
এ দেহ হইল কাল।।
কায় মন চিতে ও রাঙ্গা চরণে
শরণ লয়েছে রাধা।
এ হেন সুখের ঘর বান্ধিয়াছি
তাহে কেন কর বাধা।।
অনেক যতনে পীরিতি রতনে
ভাঙ্গিতে তিলেকে পারি।
গড়িতে বিষম অতিশয় শ্রম
শুনহ প্রাণের হরি।।”
চণ্ডীদাসে বলে — “এমন পীরিতি
শুনিতে জগৎ বশ।
দোঁহে সে জানয়ে দুহু রস তত্ত্ব
আনে কি জানয়ে রস।।”