রাই-কানু-পিরিতির বালাই লৈয়া মরি।
ক্ষণে করে আলিঙ্গন ক্ষণে মূখ চুম্বন
ক্ষণে রাখে হিয়ার উপরি।।
আউলায়্যা চাঁচর কেশ করে বহুবিধ বেশ
সিন্দুর চন্দন দেই ভালে।
মুখচাঁদ দেখি ঘাম আকুল হইয়া শ্যাম
মোছায়ই বসন অঞ্চলে।।
দাসীগণ-কর হৈতে চামর লইয়া হাতে
আপনে করয়ে মৃদু বায়।
দেখি রাই-মুখ-শশী সুধা ঝরে রাশি রাশি
হেরি নাগর অনিমিখে চায়।।
ঐছন আরতি দেখি রাইয়ের সজল আঁখি
বাহু পসারিয়া করে কোরে।
দুহুঁ হিয়ায় দুহুঁ রাখি দুহুঁ চুম্বে মুখ শশী
দুহুঁ প্রেমে দুহুঁ ভেল ভোরে।।
নিকুঞ্জ মন্দির মাঝে শুতল কুসুম-শেজে
দোহেঁ দোঁহা বান্ধি ভুজপাশে।।
আর যত সখীগণ সভে করে নিরীক্ষণ
দূরে রহু নরোত্তম দাসে।।