রাগের ভজন পথ কহি এবে অভিমত
লোক বেদ সার এই বাণী।
সখির অনুগা হৈয়া ব্রজ সিদ্ধি দেহ পায়্যা
সেই ভাবি জুড়াব পরাণি।।
রাধিকার সখি যত তাহা না কহিব কত
মুখ্য সখি করিএ গণন।
ললিতা বিশাখা তথা সুচিত্রা চম্পকলতা
রঙ্গদেবী সুদেবী কথন।।
তুঙ্গবিদ্যা ইন্দুলেখা অষ্টজন এক সখা
আর কহি শুন সখি(গ)ণ।
ললিতার মন্দ গতি সদাই কৃষ্ণতে মতি
তারঁ সম কাহার গণন।।
কহি তার বিবরণ শুন সবে একমন
যেই যে রূপের নিজগণ।
ইহোঁ সেবা-সহচরী প্রিয়প্রেষ্ট নাম ধরি
প্রেমসেবা করে অনুক্ষণ।।
সমস্নেহা বিষম স্নেহা না করিহ দুই লেহা
কহিমাত্র অধিকস্নেহাগণ।
নিরন্তর থাকে সঙ্গে কৃষ্ণকথা লীলারঙ্গে
নর্মসখী এই সবজন।।
শ্রীরূপমঞ্জরী সার শ্রীরতিমঞ্জরী আর
লবঙ্গমঞ্জরী মঞ্জুলালী।
শ্রীরসমঞ্জরী সঙ্গে কস্তু(রি)কা আদি রঙ্গে
প্রেম সেবা করে কুতূহলী।।
এ সব অনুগা হৈয়া প্রেমসেবা নিব চায়্যা
ইঙ্গিতে বুঝিব সব কাজে।
রূপে গুণে ডগমগি সদা হব অনুরাগী
বসতি করিব সখি মাঝে।।
বৃন্দাবনে দুই জন চতুর্দিকে সখিগণ
সমএ রসবর সুখে।
সখির ইঙ্গিত হবে চামর ঢূলাব তবে
তাম্বুল যোগাব সখি মুখে।।
যুগল চরণ সেবি নিরন্তর এই ভাবি
অনুরাগে থাকিব সদায়।
সাধনে ভাবিব যাহা সিদ্ধ দেহে পাই তাহা
রাগ পথের এই সে উপায়।।
সাধনে যে ধন চাই সিদ্ধ দেহে তাহা পাই
পকু অপকু মাত্র বিচার।
পাকিলে সে প্রেমভক্তি অপকে সাধন কতি
ভকতি লক্ষণ তত্ত্ব সার।।
নরোত্তম দাস কয় এই যেন মোরে হয়
ব্রজপুর অনুরাগ বাসে।
সখিগণ গণনাতে আমারে লিখিহ তাতে
তবহি পূরব অভিলাষে।।
সখিনাং সঙ্গিনীরূপামাত্মানাং বাসনাময়ীম্‌।
আজ্ঞা সেবা পরাং তত্ত্ব কৃপালঙ্কারভূষিতাম্‌ ।।
কৃষ্ণস্মরণ্ জনঞ্‌চাস্য নিজপ্রেষ্ঠ ময়ি হিতম্‌।
তত্ত্ব-কথা-রতশ্চাসৌ কুর্য্যদ্বাসং ব্রজে সদা।।