”শুনহে রসিক নাতি।
জাতি মিলায়ব ধন বিলায়ব
নেহত আঁচল পাতি।।”
হাসিয়া হাসিয়া রসিয়া বড়াই
কহিছে রাধার ঠাঁই।
”কি শুন নাতিয়া বচন সচন
কেমনে শুনহ রাই।।
কুলশীল পনা শুনহ নাতিনা
নিতে চাহে ও না দানী।
তার কিবা ভয় কিসের সংশয়
এই কর বিকি কিনি।।
অমূল্য রতন যাহার বচন
কিবা সে লোকের ভয়।
যে চাহে তা দিয়ে এই আন লয়ে
হেন সে মনেতে ভায়।।”
রাই পানে বলে বুড়ি কোন ছলে
কাণে কাণে কহে কথা।
বারি হাতে করি শ্যাম বরাবরি
যাইয়ে নাড়য়ে মাথা।।
নাতিনী নাতিয়া দুইসে মিলন
করিয়া দিব সে ভালি।
রসের পরশে সুখের লালসে
করহ রসের কেলি।।”
চণ্ডীদাসে সুখী এ কথা শুনিয়া
শ্যামের বাজারে বিকি।
হরষ বদনে পশরা মাথায়
হাসি বসে সব সখী।।