ভজ, নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ, হরে কৃষ্ণ হরে রাম ।।
ভজ,–নিতাই গৌর রাধে শ্যাম রাধে
ভজ,–নিতাই গৌর রাধে শ্যাম—জপ,–হরে কৃষ্ণ হরে রাম
জপ,–হরে কৃষ্ণ হরে রাম
জপ,–রাম রাম হরে হরে—জপ,–হরে কৃষ্ণ হরে রাম
রমে রামে মনোরমে—জপ,–হরে কৃষ্ণ হরে রাম
শ্রীরাধারমণ রাম—জপ,–হরে কৃষ্ণ হরে রাম
ভজ,–নিতাই গৌর রাধে শ্যাম রাধে
ভাই রে,–আমার নিতাণ গুণমণি
আমি,–কি জানি গুণ কত বা বাখানি—ভাই রে,–আমার নিতাই গুণমণি
আচণ্ডালের দ্বারে দ্বারে গিয়ে—যেচে,–বিলায় রে প্রেম-চিন্তামণি
দন্তে,—তৃণ ধরি করি যোড়পাণি—যেচে,–বিলায় রে প্রেম-চিন্তামণি
দুনয়নে,–বহে ধারা যেন সুরধুনী—যেচে,–বিলায় রে প্রেম-চিন্তামণি
তার,–গৌরপ্রেমে গড়া কলেবর—ওরে,–ভাই রে আমার নিতাই সুন্দর
নিতাই আমার,–গোরাভাবে সদাই বিভোর
গৌরপ্রেম,–মদিরা পানে হয়ে বিভোর—জানে না নিতাই আপনি কি পর
আ’মরি প্রেমবাহু পসারিয়ে—নিতাই আমার,–আচণ্ডালে ধেয়ে করে কোর
তোর,–পাপ-তাপের বোঝা নিয়া—বলে ভাই,–বিনামূলে আমি হব তোর
একবার,–মুখে বল ভাই ‘গৌর’ ‘গৌর’—বলে ভাই,–বিনামূলে আমি
নিতাইচাঁদের,–দুনয়নে বহে অবিরত লোর—নিতাই আমার,–
চাঁদ’—নিতাই আমার শুদ্ধস্বর্ণ
গৌর-অনুরাগ-সোহাগায় শোধন-করা—চাঁদ,–নিতাই আমার শুদ্ধস্বর্ণ
যারে তারে পরশ করে—আ’মরি,–ধারায় পরশমণির বর্ণ
সোনা ছুঁলে পরশ হয়—আ’মরি,–কে কোথায় শুনেছে
পরশ ছুঁলে সোনা হয়—জগজনে এই তো জানে
সে ও তো ধাতুর বিচার করে
আ’মরি পরশমণি বলে যারে—সে ও তো ধাতুর বিচার করে
আমার,–প্রাণ-গৌরাঙ্গের প্রেমরাজ্যে—এ-যে, বিপরীত গতি রে
আ’মরি,–যারে তারে পরশ করে
আমার,–নিতাই-সোনা পরশ করে—আ’মরি,–যারে তারে পরশ করে
এমনি আমার নিতাই-সোনা—পরশেরও অপেক্ষা রাখে না
আমার নিতাই-সোনার নাম—শুধু,–মুখে বলা বা কাণেতে শোনা
হেলায় শ্রদ্ধায়,–নিতাই নিতাই নিতাই নিতাই—বিলেলেই হয় বা শুনিলেই হয়
নিতাই নিতাই বলতে শুনতে—অমনি,—-চিত্তদর্পন মার্জ্জিত হয়
অনাদিকালের,–দুর্ব্বাসনা—মালিন্য ক্ষালিত হয়ে—অমনি,–চিত্তদর্পণ
অমনি,–হৃদয়ে জাগে রে
পরশমণির খনি—অমনি,–হৃদয়ে জাগে রে
‘পরশমণির খনি’—
ও-সে অপ্রাকৃত—পরশমণির খণি
মহা,–ভাব-প্রেম-রসময়—পরশমণির খণি
অখিল,–লাবণ্য-মাধুর্য্য-আলয়—পরশমণির খণি
গৌর,–হৃদয়ে উদয় হয়
নিতাই নিতাই বলতে শুনতে—গৌর,–হৃদয়ে উদয় হয়
কীর্ত্তন-নাটুয়া-বেশে—গৌর,–হৃদয়ে উদয় হয়
কীর্ত্তন-নাটুয়া-বেশে—গৌর,–হৃদয়ে উদয় হয়
‘কীর্ত্তন—নাটুয়া-বেশে’—
রসাবেশে হেসে হেসে—কীর্ত্তন-নাটুয়া-বেশে
নিশিদিশি গুণেতে কাঁদায়
প্রাকৃত-ভোগ-বাসনা ঘুচায়
গৌর হৃদয়ে,–উদয় হয়ে গুণে কাঁদায়ে—প্রাকৃত-ভোগ-বাসনা ঘুচায়
দারুণ-সংসার,–বন্ধনের একমাত্র কারণ—প্রাকৃত,–দেহাভিমান যায় রে দূরে
গৌরগু ঝুরে ঝুরে—প্রাকৃত,–দেহাভিমান যায় রে দূরে
দেহাভিমান ঘুচাইবার—আর কোনও উপায় নাই রে
গৌর-গুণে কাঁদা বিনে—আর কোনও উপায় নাই রে
শ্রীরাধাদাসী-অভিমান হয় রে
গৌর-গুণে ঝুরে ঝুরে—শ্রীরাধাদাসী অভিমান হয় রে
রাই-কানু-মিলিত গৌর –যুগল-রূপে দেখা দেয় রে
হৃদি-মণি-মন্দিরে—রাধাশ্যাম-রূপে দেখা দেয় রে
পরমকরুণ শ্রীগুরদেব—তখন,–বলে দেন ইঙ্গিত করে
‘হরে কৃষ্ণ রাম’ নাম—নিশিদিশি জপ কর
হৃদয়ে ‘যুগল’ স্মঙর—নিশিদিশি জপ কর
নিত্যলীলা দেখতে পায় রে
শ্রীগুরু-আজ্ঞায় নাম জপে—নিত্যলীলা স্ফুর্ত্তি পায় রে
রাধাদাসী-অভিমানে—নিত্যলীলা স্ফূর্ত্তি পায় রে
শ্রীযমুনা-পুলিন-বনে—নিত্যলীলা স্ফূর্ত্তি পায় রে
ও—‘‘যমুনা-পুলিন কেশীঘাট,
আরে ও বংশীবট রে।’’
‘‘যমুনার তীরে নীরে বিহরই,’’
ভাগ্যবতী শ্রীযমুনার—তীরে নীরে
তীরে নীরে বিহরত
গোধন-পালন-রঙ্গে—তীরে নীরে বিহরত
সমবয়ো-বাল-সঙ্গে—তীরে নীরে বিহরত
নব-নটবর-ভঙ্গে—তীরে নীরে বিহরত
‘‘যমুনার তীরে নীরে বিহরই,
ও-সে—রসময় শ্যাম নট রে।।’’
বিহরে,–রসময় শ্যাম নট রে
আ’মরি—‘‘ধীরসমীরে বংশীস্বরে’’
বিহরত বনমালী—ধীরসমীরে
ধীরসমীরে যমুনাতীরে—বিহরত বনমালী
শ্যাম-নাগরের সাধনৃ-যন্ত্র
সরল-বাঁশের বাঁশী—শ্যাম-নাগরের সাধন-যন্ত্র
আ’মরি,–মন-সাধে সদাই সাধে
জয় রাধে শ্রীরাধে রাধে—আ’মরি,–মন-সাধে সদাই সাধে
ধীরসমীরে যমুনাতটে—বংশীবটে সদাই রটে
অকপটে শ্যাম-নটে—বংশীবটে সদাই রটে
জয় শ্রীসরলা বংশী—বাঁশী বড় ভাগ্যবতী
শ্যাম-নাগর,–কত আদরে অধরে ধরে—শ্যামের,–অধর-সুধা পান করে
শ্যামের,–অধর-সুধা পান করে—‘রাধা’ নাম-সুধা উগারে
জয়,–‘রাধে’—‘রাধে’ বলে বেজে—বাঁশী,–সঙ্কেত করে মিলন করায়
বংশী দূতী হয়ে—বাঁশী,–সঙ্কেত করে মিলন করায়
শ্যামের,–অধরে থাকে ‘রাধা’ বলে—বাঁশীর,–যুগল-মন্ত্রে উপাসনা
আবার—‘‘দান-ছলে বিহরই,’’
রাই-অঙ্গ-পরশের আশে—দান ছলে
ব্রজে,–সবাই কাল কাল বলে—তাই,–কাল ভাল হবে বলে
আমাদের,–গৌরঙ্গিণীর অঙ্গ-পরশে—কাল’ ভাল হবে বলে
বলে,–দে ‘দান’ দে ‘দান’ গোপি
বাহু পসারিয়ে পথ আগুলিয়ে—বলে,–দে ‘দান’ দে ‘দান’ গোপি
আ’মরি,–‘‘দান-ছলে বিহরই
শ্রীগোবর্দ্ধন-তটে রে।।’’
শ্রী,–‘‘নন্দনন্দন বংশী-বদন
আমাদের প্রাণ-রাধারমণ-নন্দনন্দন
ওগো,–কিশোরীকিঙ্করী মোরা—আমাদের প্রাণ রাধারমণ
শ্রীবৃন্দাবন-বনদেবা।
অভিনব-রাস,- রসিকবর নাগর,
নাগরীগণ-কৃত-সেবা।।
ব্রজপতি-দম্পতি,- হৃদয়-আনন্দন,
নন্দন নবঘন শ্যাম।
নন্দীশ্বর পুর, পুরট-পটাম্বর,
রামানুজ গুণধাম।।
শ্রীদাম-সুদাম,- সুবল-সখা সুন্দর,
চন্দ্রক-চারু-অবতংস।
গোবর্দ্ধন-ধর, ধরণী-সুধাকর,
মুখরিত-মোহন-বংশ।।
কালিয়-দমন, গমন জিতি কুঞ্জর,
কুঞ্জ রচিত রতি-রঙ্গ।’’
শ্রী,–‘‘নন্দনন্দন বংশীবদন,
আমাদের,–‘‘ঠাকুরাণী ভানুনন্দিনী’’
আমাদের,–ঐ গরবে হৃদয় ভরা—আমাদের
আমরা,–ঐ গরবে গরব করি—আমাদের ঠাকুরাণী
আমরা,–ঐ গরবে সদাই ফিরি—আমাদের ঠাকুরাণী
কিশোরী-কিঙ্করী মোরা
আমরা রাইএর, রাই আমাদের—কিশোরী-কিঙ্করী মোরা
সহজে,–বিংশতি-ভাব-ভূষণে বিভূষিণী—ওগো,–আমাদের রাই রতনকলি
প্রতি,–অঙ্গে শোভে আভরণ বহুমণি—ওগো,–আমাদের রাই রতনমণি
গোপিনী-সীমান্তিনী—রাই আমাদের রমণী-মণি
রাই আমাদের,–মাধুর্য্য-কাদম্বিনী
ত্রিধারা-বর্ষণকারিণী রাই—রাই আমাদের,–মাধুর্য্য-কাদম্বিনী
ত্রিধারা-বর্ষণকারিণী রাই—শ্যাম-নাগর-স্নাতকারিণী
পূবর্বাহ্নে মধ্যাহ্নে সায়াহ্নে—শ্যাম-নাগর-স্নাতকামিণী
কারুণ্য-তারুণ্য—লাবণ্যামৃত-ধারায়—শ্যাম-নাগর-স্নাতকারিণী
ব্রজবধূ-মরালিনী-জীবনী-রাই আমাদের,–কৃষ্ণলীলা-শিখরিণী
রাই আমাদের,–মহাভাব-স্বরূপিণী
ধীর-ললিতের মনোহারিণী রাই—রাই আমাদের,–মহাভাব-স্বরূপিণী
আমাদের,–‘‘ঠাকুরাণী ভানুনন্দিনী,
তাঁর,–বাস যাবটে রে।।’’
আমরা,—‘‘সখীর অনুগা হয়ে,’’
গুরুরূপা,–সখীর অনুগা হয়ে,
সদা,–র’ব রাই-নিকটে রে
আমরা,–‘‘নিত্যলীলায় সেবা করব,
গুরুরূপা-সখীর ইঙ্গিত পেয়ে—নিত্যলীলায়
‘‘নিত্যলীলায় সেবা করব,
ছাড়িয়া কপট রে।।’’
‘‘গোকুল-মঙ্গল বংশী বাজলে,
জয় রাধে শ্রীরাধে বলে—গোকুল-মঙ্গল
‘‘গোকুল-মঙ্গল বংশী বাজলে,
রাই সাজাব ঝট রে।’’
আমরা—‘‘কিশোরী-সনে অভিসারে,’’
হেলে দুলে প্রেমতরঙ্গে—কিশোরী-সনে
শ্যাম-বঁধুর কথা-পরসঙ্গে—কিশোরী-সনে
‘‘কিশোরী-সনে অভিসারে,
যাব,–শ্রীকালিন্দী-তটে রে ।।’’
মিলাব,–কিশোরী শ্যাম-নটে রে।’’
তাতে,–‘‘দারিদ্রে পাইবে যেন,’’
আমরা,–কিশোরী মিলাব শ্যাম-েনটে—দারিদ্রে
তাতে,–‘‘দারিদ্রে পাইবে যেন,
হেম-পূর্ণ-ঘটে রে ।।’’
‘‘দু’করে চামর ঢুলা’ব,’’
গুরুরূপা-সখীর ইঙ্গিত পেয়ে—দুকরে
‘‘দু’করে চামর ঢুলা’ব,
আমাদের,–‘‘রাই-মুখ শুকাইলে,
তাম্বুল যোগাব সম্পূটে রে।।’’
‘‘রাই-মুখের আধ-তাম্বুল,’’
শ্রী,–ললিতার পাশে দাঁড়ায়ে দেখব—রাই-মুখের
‘‘রাই-মুখের আধ-তাম্বুল,
কাড়ি খাবে শযযাম-নট রে।”
হবে,–‘‘মেঘ-বিজুরী জড়াজড়ি,
তারা,–যুগল দেখে যুগল হবে—পুচ্ছ পসারি’
পাছে, বাদী ‘যুগল’ ভাঙ্গবে বলে—পুচ্ছ পসারি’
সখীগণ দূরে যাবে,–কুঞ্জে আসবে
কুঞ্জে পড়িবে কবাট রে।।’’
আমরা,–‘‘কুঞ্জ ঘিরে ফিরে ফিরে,’’
জয়,–রাধা রাধারমণ বলে—কুঞ্জ ঘিরে
‘‘কুঞ্জ ঘিরে ঘিরে ফিরে,
করব সবে নট রে।’’
আমাদের,–‘‘রাই-অঙ্গ-ছটা লেগে,’’
গবাক্ষ দিয়ে চেয়ে দেখব—রাই-অঙ্গ
গৌর হবে শ্যাম-নট রে।।’’
আমাদের রাধে—আমরা,–গরব করে বলব
আমাদের,–প্রেমময়ী গরবিণী—আমাদের রাধে
রাই-অঙ্গ-ছটা লেগে শ্যাম হল গোরা।।’’
নিকুঞ্জেতে এ কি রঙ্গ—তোরা,–দেখে যা সজনি
‘নিকুঞ্জেতে এ কি রঙ্গ’—
শ্যাম হল গৌরাঙ্গ—নিকুঞ্জেতে এ কি রঙ্গ
আজ,–নাগরালি ভুলে হল রাধাভাবে ভোরা।’’
গোপী-সনে রাস-বিলাস—আজ আর,–মনে নাই মনে নাই
আপনি যে,–নাগরেন্দ্র-শিরোমণি তা—আজ আর,–মনে নাই মনে নাই
আপনি যে,–রসিকেন্দ্র-চূড়ামণি তা—আজ আর,–মনে নাই মনে নাই
ভাবিনী বরণ ধরায়েছে তা—আজ আর,–মনে নাই মনে নাই
ঐ দেখ,–হা কৃষ্ণ হা কৃষ্ণ বলে দুনয়নে ধারা।।’’
দেখ সখি চেয়ে দেখ—শ্যাম নাগর কাঁদছে
বিরহিণীর মত আজ—শ্যাম নাগর কাঁদছে
আমাদের,–প্রেমময়ী কি মাধুরী—বালাই লয়ে মরে যাই
কালিয়া-কুটিল-নাগরে—আপন-বরণ ধরালে
উহার ভিতরে বাহিরে—আপনি-বরণ ধরালে
বিভাবিত কৈলে
আপনার ভাবে ধনী—বিভাবিত কৈলে
দেখ দেখ দেখ প্রেমের—বিবর্ত্ত দেখ গো
নাগর নাগরী হল—বিবর্ত্ত দেখ গো
বিরহিণীর মত আজ—শ্যাম-নাগর কাঁদছে
অবিরল প্রেমধারার—বিরাম নাই বিরাম নাই
যেন,–শ্রাবণ-মেঘেরই ধারা—বিরাম নাই বিরাম নাই
ধারার ধারা দেখে মনে হয়—বুঝি,–ভাসাবে ধরা গো
ঐ,—মোহন-মূরতি গোরা—প্রেমধারায় ভাসাবে ধরা
প্রাণ-ভরে গাও সবে গোরা গোরা গোরা।।’’
গৌর আমার আগা গোড়া গোরা গোরা গোরা।।
রাই-কানু মিলিত মূরতি—আমাদের,–জীবনে মরণে গতি
যুগল-উজ্বজারস, প্রেম-উজ্বল-রস
আমরা সবে রাধার দাসী যুগল মোদের সরবস।
আমরা,–রাই কানু মিলাবার লাগি ঘর করেছি পরবাস।
যুগল-সেবা করব বলে সার করেছি বনবাস।
যুগলে সুখ দিবার লাগি রাতি করেছি দিবস।।
আমরা রাইএর সেবা-দাসী শ্যাম রাধার প্রেমে বশ।
রাধাপ্রেমে আস্বাদিতে শ্যামের হল অভিলাষ।।
তাই—রাধা-ভাব-কান্তি অঙ্গিকরি’ গৌররূপে নদে বাস !
রাই-কানু-মিলিত গোরা প্রেম করিলা পরকাশ।।’’
যদি,–গৌরাঙ্গ না হত—নইলে—কেবা জানত
শ্রীরাধা মহিমা—নইলে,—কে বা জানত
রসসিন্ধু-সীমা—নইলে,–কে বা জানত
বৃন্দা-বিপিন-মাধুরী—কার বা গোচর হত
ভাবের ভকতি—কার বা গোচর হত
ভাবের ভকতি’—
বরজ-যুবতি—ভাবের ভকতি
কে বা জানত
প্রবেস-চাতুরী-সার—কে বা জানত
‘প্রবেশ-চাতুরী-সার’—
গোপীভাবে ব্রজলীলায়—প্রবেশ-চাতুরী-সার
নিত্যানন্দ-দ্বারে ঘরে ঘরে রাধাপ্রেম হল প্রকাশ।
যদি—প্রেমধনে ধনী হবে হও রে নিত্যানন্দের দাস।।
নিতাই-দাসের দাস হয়ে যুগল-প্রেমেতে ভাস।
নিতাই-দাসের দাস হয়ে যুগল-গৌরাঙ্গ-প্রেমেতে ভাস।।’’
‘‘ভজ, নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ, হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’
প্রেমসে কহো শ্রীরাধে শ্রীকৃষ্ণ বলিয়ে—
প্রভু-নিতাই-শ্রীচৈতন্য-শ্রীঅদ্বৈত-শ্রীরাধারাণীকী জয় !
প্রেমদাতা-পরমদয়াল-পতিতপাবন-শ্রীনিতাইচাঁদকী জয় !
করুণাসিন্ধু-গৌরভক্তবৃন্দকী জয় !
শ্রীশ্রীনাম-সঙ্কীর্ত্তনকী জয় !
শ্রীখোল-করতালকী জয় !
শ্রীনবদ্বীপ-ধামকী জয় !
শ্রীনীলাচল-ধামকী জয় !
শ্রীবৃন্দাবন-ধামকী জয় !
চারি-ধামকী জয় !
চারি সম্প্রদায়কী জয় !
পরমকরুণ-শ্রীগুরুদেবকী জয়!
প্রেমদাতা-পরমদয়াল-পতিতপাবন—
শিশুপশুপালক-বালকজীবন-শ্রীমদ্রাধারমণকী জয় !