শ্রীশ্রী রঘুনাথভট্ট গোস্বামিপাদের সূচক-কীর্ত্তন

(আশ্বিন-শুক্লাদ্বাদশী)

‘‘শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই গৌর হরিবোল’’
‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।

—–০—–

‘‘জয় ভট্ট-রঘুনাথ গোসাঞি।’’

প্রাণভরে জয় দাও ভাই

গৌরপ্রিয় রঘুনাথভট্টের—প্রাণভরে জয় দাও ভাই

গৌরপ্রিয় রঘুনাথভট্ট
তাঁর—প্রাণভরে জয় দাও ভাই

‘‘শ্রীরাধাকৃষ্ণ লীলা গানে, দিবানিশি নাহি জানে,
তুলনা দিবার নাহি ঠাঁই।।’’

তাঁর পরিচয় শুন ভাই

গৌরপ্রিয় রঘুনাথভট্ট—তাঁর পরিচয় শুন ভাই

সেই ত’ রঘুনাথভট্ট গোসাঞি

‘‘শ্রীচৈতন্যের প্রেমপাত্র, তপন-মিশ্রের পুত্র,
বারাণসী ছিল যাঁর বাস।।’’

তপন-মিশ্রের পুত্র

শ্রীগৌরাঙ্গ-প্রেমপাত্র—তপন-মিশ্রের পুত্র
গোসাঞি রঘুনাথ ভট্ট—তপন-মিশ্রের পুত্র

যাঁর গৃহে সনাতনের মিলন

পরাণ-গৌরাঙ্গ-সনে—যাঁর গৃহে সনাতনের মিলন
গৌরের,–বৃন্দাবন হতে ফিরবারকালে—যাঁর গৃহে সনাতনের মিলন

‘‘নিজ-গৃহে গৌরচন্দ্রে, পাইয়া পরমানন্দে।’’

বৃন্দাবনে যাতায়াতের পথে

মধুর-নীলাচল হতে—বৃন্দাবনে যাতায়াতের পথে

‘‘চরণ সেবিলা দুইমাস।।’’

পদ সেবে পরমানন্দে

নিজ-গৃহে পেয়ে গৌরচন্দ্রে—পদ সেবে পরমানন্দে

আর কিছু ভাল লাগে না

সেদিন হতে রঘুনাথের—আর কিছু ভাল লাগে না

‘‘শ্রীচৈতন্য-নাম জপি,’ কতদিন গৃহে থাকি,
করিলেন পিতার সেবনে।’’

সদাই জাগে মনে মনে

কবে পাব চৈতন্য-চরণে—সদাই জাগে মনে মনে

নিশি-দিশি প্রাণ কাঁদিছে
কতক্ষণে যাব রে

নিতাই-গৌর-চরণে শরণ লব—কতক্ষণে যাব রে

[মাতন]
গৌর-নাম জপে নিশি-দিনে

গৃহে করে পিতার সেবনে—গৌর-নাম জপে নিশি-দিনে
মন,–বাঁধা পড়েছে গৌর-চরণে—গৌর-নাম জপে নিশি-দিনে

নাম জপে আর বলে মনে

কবে পাব চৈতন্য-চরণে—নাম জপে আর বলে মনে

[মাতন]
কৃপা হবে কতদিনে

ঠাঁই দিবেন শ্রীচরণে—কৃপা হবে কতদিনে

কবে—ঠাঁই দিবেন শ্রীচরণে

রঘুনাথ,–নিশি-দিশি জপে মনে—কবে,–ঠাঁই দিবেন শ্রীচরণে
আমায়,–কৃপা হবে কতদিনে—কবে,–ঠাঁই দিবেন শ্রীচরণে

কবে যাব নীলাচলে

নিশি-দিশি মনে জপে—কবে যাব নীলাচলে
প্রাণ-গৌর দেখব নয়ন-ভরে—কবে যাব নীলাচলে

নিশি-দিশি এই জপমালা

গৃহে করে পিতার সেবা—আর,–নিশি-দিশি এই জপমালা
এইরূপে,–

‘‘করিলেন পিতার সেবনে।
তাঁর অপ্রকট হৈলে, আসি’ পুনঃ নীলাচলে,
রহিলেন প্রভুর-চরণে।।’’

পড়িলেন লোটাইয়ে

গৌর-দরশন পেয়ে—পড়িলেন লোটাইেয়

পড়িল গৌর-পদতলে

তোমার,–ক্রীতদাস এসেছে বলে—পড়িল গৌর-পদতলে

প্রাণ-গৌর ভাসে নয়ন-জলে

নিজ-দাসে করি’ কোলে—প্রাণে-গৌর ভাসে নয়ন-জলে

[মাতন]

‘‘মহাপ্রভু কৃপা করি’, নিজ-শক্তি সঞ্চারি’,
পাঠাইয়া দিলা বৃন্দাবনে।’’

যাও রঘুনাথ যাও ব্রজে

রূপ-সনাতনের সঙ্গ পাবে—যাও রঘুনাথ যাও ব্রজে

ব্যাকুল হয়ে রঘুনাথ কাঁদে

নীলাচল ছেড়ে আসবার কালে—ব্যাকুল হয়ে রঘুনাথ কাঁদে
প্রভুর যুগল-চরণ ধরে—ব্যাকুল হয়ে রঘুনাথ কাঁদে
গৌরের,–রসের বদন পানে চেয়—ব্যাকুল হয়ে রঘুনাথ কাঁদে

আর,–কতদিনে দেখতে পাব

ঐ হরিবোলা রসের বদন,–আর,–কতদিনে দেখতে পাব

‘‘প্রভুর-শিক্ষা হৃদে গণি’, আসি বৃন্দাবন-ভূমি,’’

কাঁদতে কাঁদতে আইলা ব্রজে

প্রভুর,–চরণ দুই হৃদে ধরে—কাঁদতে কাঁদতে আইলা ব্রজে
মুখে,–হা গৌর প্রাণ-গৌর বলে—কাঁদতে কাঁদতে আইলা ব্রজে

‘‘মিলিলেন শ্রীরূপ-সনাতনে।।’’

প্রভু পাঠায়ে দিলেন মোরে

রঘুনাথ বলেন কাতরে—প্রভু পাঠাইয়ে দিলেন মোরে
মধুর-নীলাচল হতে—প্রভু পাঠায়ে দিলেন মোরে
তোমাদের সঙ্গ-সুখ-লাগি’—প্রভু পাঠায়ে দিলেন মোরে
‘‘দুই গোসাঞি তাঁরে পাইয়া, পরম আনন্দ হইয়া,’’

ব্যাকুল হয়ে কাঁদে রে

শ্রীরূপ সনাতন—ব্যাকুল হয়ে কাঁদে রে
ভট্ট-রঘুনাথে বুকে ধরে—ব্যাকুল হয়ে কাঁদে রে
প্রাণ-গৌর-গুণ গাও বলে—ব্যাকুল হয়ে কাঁদে রে

নিরজনে কাঁদে ব্রজবনে

শ্রীরূপ-সনাতন ভট্ট-রঘুনাথ-সনে—নিরজনে কাঁদে ব্রজবনে
সঙরি গৌর-লীলা-গুণে—নিরজনে কাঁদে ব্রজবনে
পরস্পর গলা ধরে—নিরজনে কাঁদে ব্রজবনে
গৌরের,–নীলাচল-লীলা সঙরিয়ে—নিরজনে কাঁদে ব্রজবনে

‘‘দুই গোসাঞি তারে পাইয়া, পরম আনন্দ হইয়া,
রাধাকৃষ্ণ-প্রেমরসে ভাসে
অশ্রু পুলক কম্প,’’
মহাভাব-নিধি হৃদে ধরে
‘‘অশ্রু পুলক কম্প, নানা-ভাবাবেশে অঙ্গ,
রাধাকৃষ্ণ-কথার উল্লাসে।।
সকল-বৈষ্ণব-সঙ্গে, যমুনা-পুলিন-রঙ্গে,
একত্র হইয়া প্রেম-সুখে।
শ্রীমদ্‌ভাগবত-কথা, অমৃত-সমান গাথা,
নিরবধি শুনে যাঁর মুখে।।’’

সেই ত’ রঘুনাথ-ভট্ট

পিয়ায় ভাগবতামৃত—সেই ত’ রঘুনাথ ভট্ট
‘পিয়ায় ভাগবতামৃত’—
পরাণ-গৌরাঙ্গগণে—পিয়ায় ভাগবতামৃত

সেই ত রঘুনাথ-ভট্ট
শুনান ভাগবত-কথা

অমৃত সমান-গাথা—শুনান ভাগবত-কথা

প্রেম-সুখে সবে ভাসে

শ্রীভাগবত-কথা শুনে—প্রেম-সুখে সবে ভাসে

‘‘পরম-বৈরাগ্য-সীমা, সুনির্ম্মল কৃষ্ণপ্রেমা,
সুস্বর-অমৃতময়-বাণী।
পশু-পক্ষী পুলকিত, যাঁর মুখে কথামৃত,
শুনিতে পাষাণ হয় পানি।।’’

পাষাণ গলে হয় পানি

রঘুনাথ-মুখে ভাগবত শুনি’—পাষাণ গলে হয় পানি

কত-গুণের গুণমণি

রঘুনাথ-ভট্ট-গোসাঞি—কত’—গুণের গুণমণি

পানি বহে পাষাণে

তাঁর মুখে ভাগবত শুনে—পানি বহে পাষাণে

‘‘শ্রীরূপ শ্রীসনাতন, সর্ব্বারাধ্য দুইজন,
শ্রীগোসাঞি ভট্ট-রঘুনাথ।
এ রাধাবল্লভ বলে, পড়িনু বিষয়-ভোলে,
কৃপা করি’ কর আত্মসাৎ।।’’

এইবার আমায় কৃপা কর

রঘুনাথ-ভট্ট গোসাঞি—এইবার আমায় কৃপা কর

কৃপা করি মাতাও আমায়

প্রাণ-গৌর-গোবিন্দ-কথায়—কৃপা করি’ মাতাও আমায়

যেন,–প্রাণে প্রাণে সদা ঝুরি

নিজ-গুণে কর কৃপা করি’—যেন,–প্রাণে প্রাণে সদা ঝুরি
গৌরের,–বারাণসী-বিহার সঙরি’—যেন,–প্রাণে প্রাণে সদা ঝুরি



অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ