শ্রীশ্রী রাঘবের ঝালি-সমর্পণ-লীলা কীর্ত্তন

শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই-গৌরহরিবোল
‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’

পরমকরুণ শ্রীগুরুদেব

প্রাণের ঠাকুর রাধারমণ—পরমকরুণ শ্রীগুরুদেব
নিতাই-গৌর-প্রেমের পাগল—পরমকরুণ শ্রীগুরুদেব

আমরা,–কিছুই তো জানতাম না

কোথা নীলাচল কে জগন্নাথ—কিছুই তো জানতাম না

কৃপা করে টেনে আনিলে

সংসার-কূপ হতে তুলে এনে—কৃপা করে টেনে আনিলে
কেশে ধরে নিজগুণে—কৃপা করে টেনে আনলে

গৌরলীলা জানাইলে

ভাবাবেশে কীত্তনরঙ্গে—গৌরলীলা জানাইলে

দেখাব বলে বলেছিলে

ফাঁকি দিয়ে লুকাইলে—দেখাব বলে বলেছিলে

লুকাইয়ে করছ খেলা

এই মধুর শ্রীনীলাচলে—লুকাইয়ে করছ খেলা
প্রিয়গণ সঙ্গে নিয়ে—লুকাইয়ে করছ খেলা
ত্রিকালসত্য-গৌরলীলায়—লুকাইয়ে করছ খেলা

সেই লীলা দেখব বলে এলাম
আমরা ভাই ভাই মিলে

তোমারই কৃপা-ইঙ্গিতে—এলাম আমরা ভাই ভাই মিলে
প্রাণগৌরলীলা দেখব বলে—এলাম আমরা ভাই ভাই মিলে

‘‘আজ হবে শ্রীরাঘবের ঝালি-সমর্পণ।
হেন দিনে কোথা প্রভু শ্রীরাধারমণ।।’’

আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা

প্রাণগৌর-গুণ গাইতে গাইতে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা
হেলে দুলে প্রেমতরঙ্গে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা
ভাই ভাই ভাই মিলে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা
রাঘবের,–অনুরাগের কথা কইতে কইতে—আজ,–কার সঙ্গে যাব মোরা

আজ,–তেমনি করে এস প্রভু

ওহে,–নিতাই-গৌর-প্রেমের পাগল—তেমনি করে এস প্রভু
তোমার প্রিয়গণ সঙ্গে লয়ে—কেমনি করে সে প্রভু
বাহু পসারিয়ে শকতি সঞ্চারিয়ে—তেমনি করে এস প্রভু

আজ,–শকতি সঞ্চার কর

বাহু পসারিয়ে হিয়ায় ধরে—শকতি সঞ্চার কর
তেমনি করে,–কর মোদের শকতি সঞ্চার
হৃদয়ে,–গৌরলীলা স্ফূর্ত্তি হোক্‌ সবার—তেমনি করে,–কর মোদের শকতি সঞ্চার

ভাবাবেশে গাও তুমি

সঙ্গে সঙ্গে গাই মোরা—ভাবাবেশে গাও তুমি
তোমার আনুগত্যে গাই মোরা—ভাবাবেশে গাও তুমি
প্রাণভরে গাই মোরা—ভাবাবেশে গাও তুমি

প্রাণভরে গাই মোরা

তোমার আলিঙ্গনে লীলিাস্ফুর্ত্তিতে—প্রাণভরে গাই মোরা
তোমার বদন হেরে লীলাস্ফুর্ত্তিতে—প্রাণভরে গাই মোরা

‘‘দয়মন্তীর দত্ত-দ্রব্যে ঝালি সাজাইয়া।
নীলাচলে আইল রাঘব কাঁদিয়া কাঁদিয়া।।’’

যায় রাঘব কেঁদে কেঁদে

দয়মন্তীর,–দত্ত-দ্রব্যের ঝালি মাথে—যায় রাঘব কেঁদে কেঁদে
ঝালি মাথে—নীলাচল পথে—যায় রাঘব কেঁদে কেঁদে

রাঘব ভাসে নয়ন-জলে

হা,–প্রাণ শচীদুলাল বলে—রাঘব ভাসে নয়ন-জলে

(মাতন)

(মঠ হইতে পদ-যাত্রা)

যায় রাঘব কেঁদে কেঁদে

ঝালি মাথে নীলাচল পথে—যায় রাঘব কেঁদে কেঁদে
ঝালি মাথে নীলাচল-পথে—‘হা গৌর’ বলে রাঘব কাঁদে

(মাতন)
রাঘব,–যায় নীলাচল-পথে

গৌর বলে কাঁদতে কাঁদতে—রাঘব,–যায় নীলাচল-পথে

[মাতন]

(সিংহাদ্বারে উপস্থিত)

আসি’ রাঘব সিংহদ্বারে

প্রণমিয়া শ্রীমন্দিরে—আসি’ রাঘব সিংহদ্বারে

যারে দেখে সুধায় তারে

আসি’ রাঘব সিংহদ্বারে—যারে দেখে সুধায় তারে

‘‘সিংহদ্বারে আসি’ রাঘব কাঁদে উভরায়।
নীলাচল-বাসী দেখি কাতরে শুধায়।।’’

যারে দেখে সুধায় তারে

বয়ান ভাসে নয়ান-নীরে—যারে দেখে সুধায় তারে
করজোড়ে আসি কাতরে—যারে দেখে সুধায় তারে
দময়ন্তী,–দত্ত-দ্রব্য ঝালি মাথায় করে—যারে দেখে সুধায় তারে

বলে,–দয়া করে বলে দাও

কোন পথে যাব গো—বলে,–দয়া করে বলে দাও

কোন পথে যাব গো

জনে জনে রাঘব সুধায়—কোন পথে যাব গে
বলে দাও নীলাচল-বাসী—কোন পথে যাব গো
কাশীমিশ্রালয়ে আমি—কোন পথে যাব গো

আমি,–যাব কাশীমিশ্র্রের ঘরে

বলে দাও গো দয়া করে—আমি,–যাব কাশীমিশ্রের ঘরে
দেখিব যে প্রাণ-গোরারে—যাব কাশীমিশ্রের ঘরে

(মাতন)

(কাশীমিশ্রালয়াভিমুখে গমন)

বলে দাও গো দয়া করে

কোন পথে,–কোথা গেলে তার দেখা পাব—বলে দাও গো দয়া করে

কোন পথে গেলে দেখা পাব

বলে দাও গো নীলাচলবাসী—কোন পথে গেলে দেখা পাব

‘‘যার,–রসে তনু ঢর ঢর, গৌর কিশোর বর,
নাম যার শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য।’’

আমরা, –কোন পথে গেলে তার দেখা পাব

গৌরবরণ নবীন-সন্ন্যাসী—কোন পথে গেলে তার দেখা পাব
নবীন-সন্ন্যাসী কিশোর বয়স—কোন পথে গেলে তার দেখা পাব

যার,–শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য নাম

আমার,–শচীসূত গুণধান—যার,–শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য নাম

যার কাশীমিশ্রের বাড়ী

দেখব প্রাণের গৌরহরি—যাব কাশীমিশ্রের বাড়ী

দেখব আমার প্রাণগোরা

নিভৃত-গম্ভীরা—ঘরে—দেখব আমার প্রাণগোরা

(শ্রীকাশীমিশ্রের দ্বারে উপস্থিত)

রাঘব সুধায় করযোড়ে

আসি’ কাশীমিশ্রের দ্বারে—রাঘব সুধায় করযোড়ে
যারে কাছে দেখে তারে—রাঘব সুধায় করয়োড়ে

এই কি কাশীমিশ্রের বাড়ী?

করযোড়ে রাঘব সুধায়—এই কি কাশীমিশ্রের বাড়ী
তোমরা বলে দাও প্রতিবাসী—এই কি কাশীমিশ্র্রের বাড়ী
পাগল হয়ে ছুটছে সব নর-নারী—এই কি কাশীমিশ্রের বাড়ী

তোমরা,–বলে দাও প্রতিবাসী

ঐ যে,–ছুটছে সব নর-নারী—তোমরা, বলে দাও প্রতিবাসী
‘ঐ যে,–ছুটিছে সব নর-নারী’—
এখানে কি, বসতি করেন গৌরহরি—ঐ যে, ছুটছে সব নর-নারী

কেঁদে কেঁদে যায় দলে দলে

বলে,–কোথা প্রাণ-গৌরহরি—কেঁদে কেঁদে যায় দলে দলে
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য বলে—কেঁদে কেঁদে যায় দলে দলে

গৌর দেখা দাও বলে

কেঁদে কেঁদে যায় দলে দলে গৌর দেখা দাও বলে

এই কি কাশীমিশ্রের বাড়ী
দয়া করে লয়ে চল

কোথা আছ,–কাশীমিশ্র্রালয়বাসী দয়া করে লয়ে চল

আমাদের,–লয়ে চল ত্বরা করি

আমরা,–দেখব প্রাণের গৌরহরি—আমাদের,–লয়ে চল ত্বরা করি

বল বল,–কোথা প্রাণ-গোরাশশী

তোমরা কি গম্ভীরাবাসী—বল বল,–কোথা প্রাণ-গোরাশশী
তোমরা কি, কাশীমিশ্রালয় বল বল,–কোথা প্রাণ-গোরাশশী

একবার দেখব মোরা

জগবাসীর প্রাণগোর—একবার দেখব মোরা
নদেবাসীর প্রাণগোরা—একবার দেখব মোরা

লয়ে চলে কাশীমিশ্রালয়বাসী
লয়ে চল সঙ্গে করে

গৌর দেখব নয়ন-ভরে—লয়ে চল সঙ্গে করে

(মাতন)

(বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ)

(শ্রীগম্ভীরার দ্বারে আসিয়া কীর্ত্তন)
ব্যাকুল হয়ে কাঁদে রে

আসি’ রাঘব গম্ভীরার দ্বারে—ব্যাকুল হয়ে কাঁদে রে
কোথা প্রাণ-বিশ্বম্ভর বলে—ব্যাকুল হয়ে কাঁদে রে

বলে,–‘‘কোথা প্রাণ-বিশ্বম্ভর গোরা নটরায়।
আমরা,–গৌড় হইতে আসিয়াছি দেখিতে তোমায়।।’’

এই,–গম্ভীরার দ্বারে রাঘব ডাকে

কোথা প্রাণ-বিশ্বম্ভর বলে—এই,–গম্ভীরার দ্বারে রাঘব ডাকে

দু’নয়নে বহে ধারা

বলে,–কোথা আছ প্রাণগোরা—দু’নয়নে বহে ধারা

বলে,–কোথা আছ বিশ্বম্ভর

এই ত গম্ভীরা ঘর—বলে,–কোথা আছ বিশ্বম্ভর

[মাতন]

‘‘কোথা প্রাণ-বিশ্বম্ভর গোরা নটরায়।
গৌড় হতে আসিয়াছি দেখিতে তোমায়।।’’

আমরা এলাম সবাই মিলে

প্রাণগৌর তোমায় দেখব বলে—আমরা এলাম সবাই মিলে

প্রাণগৌর তোমার দেখব বলে

‘‘গৌড় হতে আসিয়াছি দেখিতে তোমায়।।’’

বহুদিন তো দেখি নাই

হরিবোলা রসের বদন—বহুদিন তো দেখি নাই

দাঁড়াও রসের বদন হেরি

চাঁদ বিনে চকোর উপবাসী আছে—দাঁড়াও রসের বদন হেরি

চকোর আঁখি উপবাসী আছে

চাঁদ-বদন না হেরিয়ে—চকোর-আঁখি উপবাসা আছে

‘‘বহু দিন দেখি নাই ও-চাঁদবদন।
বারেক করুণা করি দেহ দরশন।।’’

একবার দেখা দাও

যদি,–নিজগুণে এনেছ টেনে—একবার দেখা দাও
‘যদি,–নিজগুণে এনেছ টেনে’—
ব্রজ-গৌড়-মণ্ডল হতে—যদি,–নিজগুণে এনেছ টেনে

(মাতন)
আসি নাই আমরা আপন-মনে

বলাৎকারে এনেছ টেনে—আসি নাই আমরা আপন-মনে
যদি,–এনেছ টেনে বলাৎকারে—একবার,–দেখা দাও দয়া করে

(মাতন)

‘‘বারেক করুণা করি’ দেহ দরশন।’’

সবাই তো এসেছে

তোমার কৃপা আকর্ষণে-সবাই তো এসেছে
শ্রীগৌড়-মণ্ডল হতে—সবাই তো এসেছে

তোমার,–অনুগত সব দাসদাসী

যাঁদের,–পরায়েছ প্রেমের ফাঁসী তোমার,–অনুগত সব দাস-দাসী

সবাই তো এসেছে

‘‘শ্রীঅদ্বৈত নিত্যানন্দ দুই অগ্রগণ্য।’’

তারা আগে আগে এসেছে

তাঁদের আনুগত্যে আমরা এসেছি—তারা আগে আগে এসেছে

‘‘শ্রীঅদ্বৈত নিত্যানন্দ দুই অগ্রগণ্য।
আচার্য্যরত্ন, আচার্য্যনিধি শ্রীবাসাদি ধন্য।।
বাসুদেব দত্ত মুরারি গুপ্ত গঙ্গদাস।
শ্রীমান্‌ সেন শ্রীমান্‌ পণ্ডিত অকিঞ্চন কৃষ্ণদাস।।
মুরারি পণ্ডিত গরুড় পণ্ডিত বুদ্ধিমন্ত খাঁন।’’

সবাই তো এসেছে

প্রাণগৌর তোমায় দেখবে বলে—সবাই তো এসেছে
তোমার চাঁদমুখ দেখবে বলে—সবাই তো এসেছে
ঐ রসের বদন দেখবে বলে—সবাই তো এসেছে
হাসিমাখা—হরিবোলা, রসের বদন দেখবে বলে—সবাই তো এসেছে

সবাই তো এসেছে

‘‘মুরারি পণ্ডিত গরুড় পণ্ডিত বুদ্ধিমন্ত খাঁন।
সঞ্জয় পুরুষোত্তম পণ্ডিত ভগবান।।
শুক্লাম্বর শিবানন্দ আর যত জন।
সবাই আইলা নাম কে করে গণন।।
কুলীন-গ্রামী খণ্ডবাসী বসু রামানন্দ।’’

পটডুবি লয়ে এসেছেন

বসু রামানন্দ পট্টডুবি লয়ে এসেছেন

এসেছেন ঠাকুর নরহরি

খণ্ডবাসী সঙ্গে লয়ে—এসেছেন ঠাকুর নরহবি

তারা তো আন জানে না

প্রাণগৌর তোমা বিনে—তারা তো আন জানে না

‘‘কুলীন-গ্রামী খণ্ডবাসী বসু রামানন্দ।
আইলা দেখিতে সবে তুয়া মুখচন্দ্র।।’’

একবার দেখা দাও
সবাই তো এসেছে

এসেছে দত্ত উদ্ধারণ—সবাই তো এসেছে
সপ্তগ্রামবাসী সঙ্গে লয়ে,–এসেছে দত্ত উদ্ধারণ—সবাই তো এসেছে
এসেছে কালিদাস ঝড়, ঠাকুর—সবাই তো এসেছে

‘‘আইলা দেখিতে সবে তুয়া মুখচন্দ্র।।
দয়মন্তী-দত্ত দ্রব্য যতনে লইয়া।’’

যতন করে দিয়েছেন

বাৎসল্যবতী দয়মন্তী—যতন করে দিয়েছেন
সম্বৎসর ভোগ করবে বলে—যতন করে দিয়েছেন

দিয়াছেন নানা উপহার

বাৎসল্য-প্রেমে হয়ে বিভোর—দিয়াছেন নানা উপহার

‘‘দয়মম্তী-দত্ত দ্রব্য যতনে লইয়া।
আইলাম নীলাচলে ঝালি সাজাইয়া।।
তোমা না দেখিয়ে সবে বিষাদে মগন
একবার দেখা দাও শ্রীশচীনন্দন।।’’

একবার দেখা দাও

শচীদুলাল প্রাণগৌর—একবার দেখা দাও
নিজগুণের সাধ মিটাও—একবার দেখা দাও

এত বলি রাঘব পণ্ডিত

এই গম্ভীরার দ্বারেতে আসি’—এত বলি রাঘব পণ্ডিত

বলে,–ধর ধর লও হে গোবিন্দ

বলে,–‘‘ধর ধর লও হে গোবিন্দ । রেখো যতন করে।
মনোভাব বুঝি তুমি দিজ গৌরাঙ্গে রে।।
দময়ন্তী দেবী সাক্ষাৎ বাৎসল্যের মূর্ত্তি।
দিয়াছেন গৌরাঙ্গে করি যত আত্তি।।’’

দিয়াছেন কত দ্রব্য

বাৎসল্য-মাখা দ্রব্য যত—দিয়াছেন কত দ্রব্য

বাৎসল্য মাখা দ্রব্য যত

দিয়াছেন দেবী দময়ন্তী—বাৎসল্য-মাখা দ্রব্য যত

ধর ধর লও হে গোবিন্দ !

এই গম্ভীরার দ্বারে রাঘব বলে—ধর ধর লও হে গোবিন্দ

‘‘অপরূপ ভক্ষ্যদ্রব্য প্রভুর যোগ্যভোগ।
বৎসরেক প্রভু যেন করেন উপভোগ।।’’

ধর ধর লও হে গোবিন্দ

তুমি,–সময় জেনে যোগাইও—ধর ধর লও হে গোবিন্দ
দময়ন্তীর, দত্ত ভোগ্য দ্রব্য সকল—ধর ধর লও হে গোবিন্দ
এই গম্ভীরার দ্বারে রাঘব বলে—ধর ধর লও হে গোবিন্দ

‘‘আম্রকাসুন্দী, ঝাল-কাসুন্দি, আদা কাসুন্দি আর।
নেবু আদা আম্র কলি বিবিধ প্রকার।।’’

ধর ধর লও হে গোবিন্দ
সময় জেনে যোগাইও

সেবা পেয়েছ কাছে থাক—সময় জেনে যোাগাইও

ধর ধর লও হে গোবিন্দ

‘‘আমসি আম্রখণ্ড আর তৈলাম্র আমতা।
চূর্ণ করি দিয়াছেন পুরাণ শুকুতা।।’’

বাৎসল্যবতী দময়ন্তী

প্রাণ-গৌরাঙ্গে রতি অতি—বাৎসল্যবতী দময়ন্তী

‘‘চূর্ণ করি দিয়াছেন পুরাণ শুকুতা,’’—

পেটে আম হবে বলে

বাৎসল্যভাবে দিয়াছেন—পেটে আম হবে বলে

বাৎসল্যভাবে দিয়াছেন

আমদোষ নাশিবে বোলে—বাৎসল্যভাবে দিয়াছেন

‘‘চূর্ণ করি দিয়াছেন পুরাণ শুকুতা।।
শুকুতা বলি’ অবজ্ঞা না করিহ চিতে।
শুকুতায় যে প্রীতি প্রভুর নহে পঞ্চামৃতে।।
ধনিয়া, মহুরী তণ্ডুল চূর্ণ করিয়া।
লাড়ু বাঁধ দিয়াছেন চিনি পাক দিয়া।।
শুঁটিখণ্ড লাড়ু হয় আমপিত্ত হর।
পৃথক পৃথক বাঁধা আছে কুথলি ভিতর।।‘’

ধর ধর লও হে গোবিন্দ

সময় জেনে যোগাাইও—ধর ধর লও হে গোবিন্দ

সময় জেনে যোগাইও

শারিরীক অবস্থা বুঝি—সময় জেনে যোগাইও

ধর ধর লও হে গোবিন্দ

‘‘কোলি-শুঁটি, কোলি-চূর্ণ কোলিখণ্ড আর।
কত নাম লব যত প্রকার আচার।।
নারিকেল-খণ্ড আর লাড়ু গঙ্গাজল।
চিরস্থায়ী খণ্ড বিকার দিয়েছে সকল।।’’

ধর ধর লও হে গোবিন্দ

এই গম্ভীরার দ্বারে রাঘব বলে—ধর ধর লও হে গোবিন্দ

‘‘শালিকা চুটি ধান্যের আতপ চিঁড়া করি।
দিয়াছেন বড় বড় কুথলিতে ভরি।।
কতক চিঁড়া হুড়ুম করি ঘৃতেতে ভাজিয়া।
চিনি পাকে লাড়ু কৈল কর্পূরাদি দিয়া।।
শালি-তণ্ডুল-ভাজা চূর্ণ করিয়া।
ঘৃতসিক্তে লাড়ু কৈল চিনি পাক দিয়া।
কর্পূর মরিচ এলাচ লবঙ্গ রসবাস।
চূর্ণ করি লাড়ু কৈল পরম সুবাস।।’’

ধর ধর লও হে গোবিন্দ

এই,–গম্বীরার দ্বারে রাঘব বলে—ধর ধর লও হে গোবিন্দ

‘‘কভু নাহি জানি নাম এ জন্মে যাহার।
ঐছে নানা দ্রব্য দিল সহস্র প্রকাস।।’’

ধর ধর লও হে গোবিন্দ

‘‘গঙ্গা মৃর্ত্তিকা আনি বস্ত্রেতে ছানিয়া।
পাপড়ী করিয়া দিল গন্ধ দ্রব্য দিয়া।।
কহিতে না পারি নাম কতেক প্রকার।
দিয়াছেন দময়ন্তী প্রীতি-উপহার।।’’

ধর ধর লও হে গোবিন্দ

দময়ন্তীর প্রীতির দ্রব্য—ধর ধর লও হে গোবিন্দ

মাথায় করে এনেছি আমি
মাথায় করে আমি ধন্য

প্রভুর দেবার দ্রব্য—মাথায় করে আমি ধন্য

‘‘দিয়াছেন দময়ন্তী প্রীতি-উপহার।।
যতন করিয়া সব করাইও ভোজন।
যেমতে পায়েন প্রীতি শ্রীশচীনন্দন।’’

ধর ধর লও হে গোবিন্দ

‘‘দয়মন্তীদত্ত দ্রব্য সঁপিনু তোমারে।
অবসর জানি দিও প্রাণ-বিশ্বম্ভর।।’’

তোমার ভাগ্যের সীমা নাই

সদাই প্রভুর কাছে থাক—তোমার ভাগ্যের সীমা নাই
প্রভুর,–কাছে থাক সেবা কর—তোমার ভাগ্যের সীমা নাই

আমার ভাগ্যে হল না

প্রভুর,–সঙ্গে থাকব সেবা করব—আমার ভাগ্যে হল না

‘‘হেন মতে রাঘব-পণ্ডিত ঝালি সমর্পিল।
ভোজন-গৃহের কোণে গোবিন্দ রাখিল।।’’

ঝালি,–সমর্পিলেন রাঘব-পণ্ডিত

ত্রিকাল-সত্য-লীলায়—ঝালি,–সমর্পিলেন রাঘব-পণ্ডিত

রাখিলেন গোবিন্দদাস

গৌরের,–সেবার জন্য যতন করে—রাখিলেন গোবিন্দদাস
ভোজন-গৃহের কোণে—রাখিলেন গোবিন্দদাস

ভাগ্যবান জনে দেখিলেন

ত্রিকাল-সত্য গৌর-লীলা—ভাগ্যবান জনে দেখিলেন

(শ্রীশ্রীশ্রীধরে ঝালি)

রাঘবের,–ঝালি-সমর্পণ শেষ হলে
দাঁড়ায়ে ছিলেন এক পাশে

অতিদৈন্যে শ্রীধর পণ্ডিত—দাঁড়ায়ে ছিলেন এক পাশে
থোড়,–মোচার ঝালি মাথায় লয়ে—দাঁড়ায়ে ছিলেন এক পাশে
স্বভাবে দীনভাবে—দাঁড়ায়ে ছিলেন এক পাশে

মনে মনে গণছিলেন
কেমন করে দিব আমি

এই সামান্য থোড় মোচা—কেমন করে দিব আমি

এনেছেন রাঘব পণ্ডিত

কত দুখাদ্য সুস্বাস্য দ্রব্য—এনেছেন রাঘব পণ্ডিত
দেবী দময়ন্তীর দত্ত দ্রব্য—এনেছেন রাঘব পণ্ডিত
নানাবিধ উপহার—এনেছেন রাঘব পণ্ডিত

এনেছেন রাঘব পণ্ডিত
কেমন করে দিব আমি

এই সামান্য থোড় মোচা—তার আগে,–কেমন করে দিব আমি

তাই,–দাঁড়িয়েছিলেন এক পাশে
ব্যাকুল হয়ে ডাকছেন

শ্রীধর-পণ্ডিত আপন স্বভাবে—ব্যাকুল হয়ে ডাকছেন

কোথা বা আছ হে

ঝালি—মাথে শ্রীধর কাঁদে—কোথা বা আছ হে

কোথায় আছ নিমাই পণ্ডিত

আপন-স্বভাবে শ্রীধর ডাকেন—কোথায় আছ নিমাই পণ্ডিত

আর কেন যাও না তুমি

নদীয়ার বাজারে—আর কেন যাওনা তুমি
আমি নিতুই চাই পথ পানে,–আর কেন যাওনা তুমি

আমি,–নিতুই চাই পথ-পানে

থোড়,–মোচা লয়ে বাজারে বসে—আমি,–নিতুই চাই পথ-পানে
কতক্ষণে আসবে বলে—আমি,–নিতুই চাই পথ-পানে
‘কতক্ষণে আসবে বলে’—
চিতচোর শচীনন্দ–কতক্ষণে আসবে বলে

আমি,–নিতুই চাই পথ-পানে
কতক্ষণে আসবে বলে
তাই,–চেয়ে থাাকি পথ-পানে
তুমি,–হাত হতে নিবে কাড়ি

থোড় মোচা জোর করি—তুমি,–হাত হতে নিবে কাড়ি

থোড়,–মোচা লয়ে বাজারে বসি

দেখতে পাই না গোরাশশী—থোড়,–মোচা লয়ে বাজারে বসি

তাই,–চেয়ে থাকি পথ-পানে
দেখিতে তো পাই না
সুধা’লাম নদীয়া বাসিরে

বহুদিন না দেখতে পেয়ে—সুধালাম নদীয়াবাসিরে
গৌর কেন আসে না বাজারে—সুধালাম নদীয়াবাসিরে

তারা সবাই বলে দিলে

তুমি এসেছ নীলাচলে—তারা সবাই বলে দিলে

তাই আমি এসেছি

সবাই আসছেন তাঁদের সঙ্গে—তাই আমি এসেছি,
থোড় মোচা মাথায় লয়ে—তাই আমি এসেছি

আর কি নদে যাবে না

প্রাণ-শচীদুলালিয়া—আর কি নদে যাহে না

তেমনি করে কেড়ে নেবে না

আমার—হাত হতে থোড় মোচা—তেমনি করে কেড়ে নেবে না

তেমনি করে নাচবে না

আমার,–হাত হতে কেড়ে লয়ে—তেমনি করে নাচবে না
আমার হাত হতে,–থোড় মোচা কেড়ে লয়ে—তেমনি করে নাচবে না

(মাতন)
আর কি ন’দে যাবে না
এলাম নীলাচলপুরে

বহুদিন পথ দেখে—এলাম নীলাচলপুরে
থোড়,–মোচার ঝালি মাথার করে—এলাম নীলাচলপুরে

তেমনি করে কেড়ে নাও

কোথা প্রাণ-শচীদুলাল—তেমনি করে কেড়ে নাও
হাসিমুখে আমার পানে চেয়ে—তেমনি করে কেড়ে নাও

না না কেড়ে নিতে হবে না
বুঝি,–তাই এসেছ নদে ছেড়ে

ইচ্ছা করে দিই নাই বলে—বুঝি,–তাই এসেছ নদে ছেড়ে

না না আর,–কেড়ে নিতে হবে না
নিতুই নিতুই যোগাইব

আমি থাকলাম এই নীলাচলে—নিতুই নিতুই যোগাইব

আমি,–নিতুই দিব থোড় মোচা

এই কাশীমিশ্রের ঘরে—আমি,–নিতুই দিব থোড় মোচা
আর,–কেড়ে নিতে হবে না—আমি,–নিতুই দিব থোড় মোচা

প্রাণ-গৌর তোমার সেবার লাগি

নিতুই দিব থোড় মোচা—প্রাণ-গৌর তোমার সেবার লাগি

আজ একবার দেখা দাও
কোথা প্রাণ-শচীনন্দন

একবার দেখা দাও—কোথা প্রাণ-শচীনন্দন (মাতন)

আজ সেই লীলার দিন
এই সে গম্ভীরার দ্বার
আজ একবার দেখা দাও

ত্রিকালসত্য-লীলায়—আজ একবার দেখা দাও
কোথা গৌর প্রাণ-গৌর—আজ একবার দেখা দাও

এইরূপে—ঝালি সমর্পিলেন শ্রীধর পণ্ডিত

ত্রিকাল-সত্য-লীলায়—ঝালি সমর্পিলেন শ্রীধর পণ্ডিত

ত্রিকাল-সত্য গৌরলীলা
আজও হতেছেন সেই লীলা
সবাই এসেছেন নীলাচলে

শ্রীগৌড়মণ্ডল-বাসী—সবাই এসেছেন নীলাচলে

এসেছেন রাঘব পণ্ডিত

দময়ন্তী-দত্ত ঝালি লয়ে—এসেছেন রাঘব পণ্ডিত

এসেছেন শ্রীধর পণ্ডিত

থোড়,–মোচার ঝালি মাথায় লয়ে—এসেছেন শ্রীধর পণ্ডিত

করেছেন ঝালি সমর্পণ

অঙ্গীকার করেছেন প্রভু—করেছেন ঝালি সমর্পণ

অঙ্গীকার করেছেন প্রভু

দময়ন্তী-দত্ত প্রীতির উপহার—অঙ্গীকার করেছেন প্রভু
তোমাদের প্রীতি উপহার—অঙ্গীকার করেছেন প্রভু

আমাদের,–একবার দেখা দাও

শ্রীরাঘবের ঝালির প্রীতে—একবার দেখা দাও
শ্রীধরের ঝালির প্রীতে—একবার দেখা দাও
বড় আশা করে এসেছি মোরা—একবার দেখা দাও
গৌর প্রাণ গোর—একবার দেখা দাও

একবার দাঁড়াও, দাঁড়াও রসের বদন হেরি হে

তোমার,–গৃহবাসী গোরাশশী—একবার দেখাও হে
কোথা আছ কাশীমিশ্র—একবার দেখাও হে
কোথা আছ গোবিন্দদাস—একবার দেখাও হে

দেখব মোরা গোরাশশী

শচীমায়ের পোষ্য পাখী—দেখব মোরা গোরাশশী

ভয় নাই আমরা লয়ে যাব না

তোমাদের পাখী তোমাদের থাকবে—ভয় নাই আমরা লয়ে যাব না

আমরা,—শুধু একবার দেখব

ঐ চিতচোরা মূরতিখানি—শুধু একবার দেখব
তোমাদের গৌর তোমাদের থাকবে—শুধু একবার দেখব

ভয় নাই আমরা লয়ে যাব না

কি দিয়ে তাঁরে বেঁধে রাখবে—ভয় নাই আমরা লয়ে যাব না

তাই এসেছে পালাইয়ে

ভালবাসিতে পারি নাই বলে—তাই এসেছে পালাইয়ে

শুধু একবার দেখব
তাতেও সুখী মোরা

গৌর,–এখানে থেকে সুখ পায়—তাতেও সুখী মোরা

আমাদের আর কিবা আছে

ঐ রসের বদন কিনা—আমাদের আর কিবা আছে

শুধু একবার দেখব

ঐ হরিবোলা রসের বদন—শুধু একবার দেখব

একবার দেখাও হে
নিত্যলীলায় কাছে থাক

তুমি ত এখানে আছ—নিত্যলীলায় কাছে থাক

ফাঁকি দিয়ে লুকাইলে

প্রকটলীলা দেখাবে বলে—ফাঁকি দিয়ে লুকাইলে
‘প্রকটলীলা দেখাবে বলে’—
নিতাই-গৌর-প্রেমের পাগল—প্রকটলীলা দেখাবে বলে,

ফাঁকি দিয়ে লুকাইলে
যদি,–কৃপাকর্ষণে এনেছ টেনে

আমরা তো আসি নাই—কৃপাকর্ষণে এনেছ টেনে
‘আমরা তো আসি নাই’—
অহৈতুকী-কৃপা-স্বভাবে,–নিজগুণে এনেছ টেনে—আমরা তো আসি নাই

একবার দেখাও হে

পরমকরুণ শ্রীগুরুদেব—একবার দেখাও হে

পরমকরুণ শ্রীগুরুদেব
কণক রুচির গৌর
সর্ব্বচিত্তৈক চৌর
প্রকৃতি মধুর দেহ
পূর্ণ লাবণ্য গেহ
সৌন্দর্য্যের সার মাধুর্য্যের পার

মহাভাবের আধার—সৌন্দর্য্যের সার মাধুর্য্যের পার

একবার দেখাও হে

তোমার,–গৃহবাসী গোরাশশী—একবার দেখাও হে

কই কথা তো কহিছ না
তবে কি গৌর দেখাবে না
হায়,–আর কার কাছে যাব

কে প্রাণ-গৌর দেখাইবে—আর কার কাছে যাব

তোমরা,–সবাই তো এসেছ

শ্রীগৌড়মণ্ডল হতে—তোমরা,–সবাই তো এসেছ
প্রভু-নিতাই-অদ্বৈত-সাথে—শ্রীগৌড়মণ্ডল হতে

সবাই তো এসেছে
বিহরিছ প্রাণ-গৌর-সনে

এই কাশীমিশ্রালয়ে—বিহরিছ প্রাণ-গৌর-সনে

আমাদের,–একবার দেখাও হে

কোথায় আছ প্রভু-নিতাই—একবার দেখাও হে
কোথায় আছ সীতানাথ—একবার দেখাও হে
কোথায় আছ ঠাকুর-নরহরি—একবার দেখাও হে
সে চিতচোরা মুরতি-খানি—একবার দেখাও হে

কৈ,–কেউতো কথা কথা কইলে না

প্রাণ-গৌর দেখালে না—কৈ,–কেউতো কথা কইলে না

তবে আর কারে সুধাব
আমরা একবার দেখব
হৃদি-পটে এঁকে লব

ভকত-বাৎসল্য-লীলা—হৃদি পটে এঁকে লব
শ্রীগুরু-গৌরাঙ্গের বিহার—হৃদি পটে এঁকে লব

বসে বসে কাঁদব

হা-গৌর প্রাণ-গৌর বলে—বসে বসে কাঁদব

একবার দেখা দাও

চিতচোর-চূড়ামণি—একবার দেখা দাও

তোমা ধনে হৃদে ধরে

যাক সব ঘরে ফিরে—তোমা ধনে হৃদে ধরে

তোমা লয়ে করুক্‌ সংসার

মায়াবন্ধন ঘুচুক সবার—তোমা লয়ে করুক সংসার

ঘরে ঘরে সবাই ঝুরুক

হা-গৌর প্রাণ-গৌর বলে—ঘরে ঘরে সবাই ঝুরুক
জগবাসী নর-নারী—ঘরে ঘরে সবাই ঝুরুক

গরব করে সবাই বলুক

‘‘শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শচীসূত গুণধাম।
এই ধ্যান, এই জপ, এই লব নাম।।’’

প্রাণভরে গান করুক

ভাই ভাই ভাই মিলে—প্রাণভরে গান করুক

জয় প্রাণ শচীসূত

রাঘব-শ্রীধরের সেবার বাধ্য—জয় প্রাণ শচীসূত

কাল একবার দেখা দিও

এই নিবেদন শ্রীচরণে—কাল একবার দেখা দিও
গুণ্ডিচা মার্জ্জন-কালে—কাল একবার দেখা দিও

দেখব তোমার মার্জ্জন-রঙ্গ

শ্রীগুরুদেবের সঙ্গে—দেখব তোমার মার্জ্জন-রঙ্গ
প্রাণে প্রাণে বলি গোরা গোরা—দেখব তোমার মার্জ্জন-লীলা।(মাতন)

নয়নভরে দেখব মোরা

তোমার গুণ্ডিচা-মার্জ্জন-লীলা—নয়নভরে দেখব মোরা

যাও নগরে নগরে

বল গিয়ে নর-নারীকে—যাও নগরে নগরে

কাল হবে গুণ্ডিচা মার্জ্জন

তোমরা,–যেও নীলাচল বাসী—কাল হবে গুণ্ডিচা মার্জ্জন

(মাতন)
বল সবে গৌরহরি

গৌর-আজ্ঞা শিরে ধরি’—বল সবে গৌরহরি

(মাতন)
যেও নীলাচল বাসী

দেখাব সবে গোরাশশী—যেও নীলাচলবাসী

(মাতন)

‘‘গৌরহরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল।।’’
‘‘শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাইগৌরহরিবোল।।’’



অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ