‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’
(ভাদ্র শুক্লা অষ্টমী)
‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’
(১)
আনন্দে ভরল তনু।’’
অশেষ-বিশেষে রস আস্বাদনকারী—মহাভাবনিধি গৌরহরি
আস্বাদিতে রাধা-জন্মতিথি—আজ হইল ললিতা-সুন্দরী
শ্রীললিতা-ভাবে বিভোর হয়ে—গদারাধার জন্মলীলা আস্বাদে
উদয় করল জনু।।’’
প্রাণ-গৌরাঙ্গের ভোগাবেশে—নদীয়া হল বৃষভানুপুর
নাচে গোরা নটরায়।’’
রাধা-গদাধরের বদন হেরে—আনন্দ আর ধরে না রে
শ্রীরাধার জন্মতিথি স্মরণ করে—আনন্দ আর ধরে না রে
হেরি গদাধর-বদনে—গৌর নাচে আনন্দ-মনে
গদাধর-বদন হেরে—মনে মনে বলে রে
ও আমার প্রাণ-কিশোরী—আজ তোমার জন্মতিথি
আজ ভাদ্রশুক্লাষ্টমী—আজ তোমার জন্মতিথি
ভাবনিধির ভাবাবেশ দেখে—সবার স্বভাব জেগে উঠ্ল রে
মহাভাবনিধির বদন হেরি—সবাই হল গোপনারী
নদীয়া হল বৃষভানুপুরী—সবাই হল গোপনারী
সবাই হয়ে ব্রজে-সহচরী—দাঁড়াইল গদাধরে ঘেরি
কর মঙ্গল আচরণ
আজ আমাদের রাইএর জনম—কর মঙ্গল আচরণ
মহামহোৎসব গায়।।’’
ভাবনিধিকে সুখ দিবার তরে—রাধা-জন্মলীলা গান করে
কলসে কলসে ঢালি।’’
ভাবনিধিকে ভোগ দিবার তরে—জন্মতিথি প্রকট করে
ঘন দিয়া হুলাহুলি।।’’
শ্রীরাধার জন্ম—উৎসবে—সবে,–অনুকূল সাজ সাজল রে
ভানুপুর-নারী-স্বভাবে—সবাই,–উলু উলু ধ্বনি করে
শ্রীরাধার জন্মদিন জেনে—সবাই,–উলু উলু ধ্বনি করে
রাধাসঙ্গিনী-দাসীর স্বভাব জেগেছে—তাইতে তারা উলু দিতেছে
স্বভাব না জাগ্লে উলু কেন দিবে—তাইতে তারা উলু দিতেছে
ভাবের তরঙ্গ তায়।’’
মহাভাবনিধি-গৌরাঙ্গে—নানা-ভাবের তরঙ্গ উঠে
অশেষ-বিশেষে লীলা আস্বাদিতে—নানা-ভাবের তরঙ্গ উঠে
এ দাস বল্লবী গায়।।’’
নদীয়া-বৃষভানুপুরে—আজ,–সবাই ভাস্ল আনন্দেতে
কিশোরী-কিঙ্করী-ভাবে—আজ,–সবাই ভাস্ল আনন্দেতে
(২)
‘‘ভাদ্র-শুক্লাষ্টমী তিথি’’—যাই রে তিথির বালাই যাই রে
যার,-যোগে আইলা ভানুদুলারী—তিথি-নক্ষত্রের বলিহারী
মধ্যদিন গত রবি, দেখিয়া বালিকা-ছবি,
জয় জয় দেই কুতূহলে।।’’
রাধিকা-বালিকা-ছবি হেরে—সবাই,–উলু উলু জয় দেয় রে
বৃষভানুপুরের নারী সবে—সবাই,–উলু উলু জয় দেয় রে
সবাই,–ধ্বনি করে উলু উলু—নয়নে,–ধারা বেহ কুলু কুলু
জয় রাধে শ্রীরাধে বলে।’’
জয় রাধে শ্রীরাধে বোল—বৃষভানুপুরে উঠ্ল রোল
অসামান্য-রূপমাধুরী—বলে—জয় জয় ভানুদুলারী
বুঝি,–লাবণ্য এল মূরতি ধরি—বলে,–জয় জয় ভানুদুলারী
বৃষভানুর অন্তরে—আনন্দ আর ধরে না রে
কন্যার চাঁদমুখ হেরে—আনন্দ আর ধরে না রে
দান দেই ব্রাহ্মণ-সকালে।।’’
তনয়া,–চিরজীবী হয়ে থাকে—তোমরা,–আশীর্ব্বাদ কর সবে
আইলা সবে কীর্ত্তিদা-মন্দিরে।’’
হ্লাদিনীর আগমনে,–আনন্দ সবার মনে—সবে,–ধেয়ে আইল কীর্ত্তিদা-মন্দিরে
বৃষভানু-বালিকা দেখবার তরে—সবে,–ধেয়ে আইল কীর্ত্তিদা-মন্দিরে
এ হেন বালিকা মিলে তোরে।।’’
ভাগ্যবতী ও কীর্ত্তিদে—এ হেন বালিকা পেলে
অনেক,–পুণ্যফলে দৈববলে—এ হেন বালিকা পেলে
মহা,–পুণ্যবতী না হইলে—এ হেন বালিকা নাহি মিলে
এ যে দিখে,–অখিল-মাধুর্য্যের আলয়—এত রূপ কি মানুষের হয়
তোর বালিকা কীর্ত্তিদারাণী—এ যে আনন্দের মূরতি মানি
ও কীর্ত্তিদা তোর তনয়-রূপে—বুঝি,–আনন্দ এল প্রকট হয়ে
না জানি কারে বা আনন্দ দিতে—বুঝি,–আনন্দ এল প্রকট হয়ে
কৃষ্ণ-প্রিয়া সদয় হইলা।।’’
এ যে কৃষ্ণ-প্রাণাধিকা—এ ত সামান্য বালিকা
আনন্দ-ঘনে আনন্দ দিতে—প্রকট ভানুতনয়া-রূপে
(৩)
ভাগ্যবতী ও-কীর্ত্তিদা—এ ত তোর নয় বালিকা
এ যে,–অকলঙ্ক-চাঁদের কলিকা—এ ত তোর নয় বালিকা
দিনে দিনে উঠ্বে ফুটি—এ বালিকা নয় চাঁদের কলি
দেখিয়া জুড়ায়ে আঁখি।
হেন মনে লয়ে, সদাই হৃদয়ে,
পসরা করিয়া রাখি।।
তোর এই,–চাঁদের কলিকা বালিকারে—মনে হয়,–রাখি হৃদয়-পসরা করে
কি হেন করিয়া, কোলেতে রেখেছ,
এ হেন সোণার ঝিয়ে।।’’
এ হেন নিধি পেয়ে—একা ভোগে কি আশ মিটে
চাঁদের কলিকা তোমার দুলারী—আমাদের মনে হয় কোলে করি
যেন তড়িৎ হয়েছে ঘন—ও-মা তোর বালিকা-বদন
তড়িতের ধর্ম্ম হয়েছে নষ্ট—এ যে স্থির বিজুরী সত্য
তোর তনয়াতে স্থির হয়েছে—তড়িত ত চঞ্চল বটে
মুখে হাসি আছে আধা।’’
তড়িত জিনিয়া সুন্দর-মুখে—স্বাভাবিক হাসি লেগে আছে
আমরা রাখিলাম রাধা।।’’
ওর মুখের হাসি আধা—বলে দিছে ওর নাম রাধা
দেখি,–ওর মুখের হাসি আধা—আমরা,–তাই নাম রাখলাম রাধা
তুলনা দিব বা কিয়ে।’’
ও কীর্ত্তিদা তোর বালিকার—জগতে কিছু নাই তুলনা দিবার
সোঙরিয়া যদি জীয়ে।।’’
তোর,–তনয়া যদি বেঁচে থাকে—মহাপুরুষের প্রেয়সী হবে
স্বরূপ-লক্ষণে মনে হতেছে—মহাপুরুষের প্রেয়সী হবে
প্রাণে প্রাণে—কে যেন বলে দিছে—মহাপুরুষের প্রেয়সী হবে
ইহোঁ উদ্বারিবে বংশ।
জ্ঞানদাস কহে, শুনেছি কমলা,
ইহাঁরা অংশের অংশ।।’’
সাধু-মুখে শুনেছি আমরা—কমলা ইহাঁর অংশের অংশ
সর্ব্ব-লক্ষ্মীময়ী ঠাকুরাণী—এই য়ে বৃষভানু-নন্দিনী
বৃষভানু-রাজনন্দিনী—সর্ব্ব,–লক্ষ্মীময়ী ঠাকুরাণী
সর্ব্ব,–লক্ষ্মীময়ী ঠাকুরাণী—কীর্ত্তিদা তোর তনয়া মানি
(৪)
এসেছেন,–আনন্দ হয়ে মূর্ত্তিমন্ত—আজ,–বৃষভানুপুরে আনন্দ
আজ,–আসিয়াছেন হ্লাদিনী—আজ তাই,–ভানুপুরে আনন্দ মানি
আজ,–মূর্ত্তিমতী হ্লাদিনীর আগমনে—আনন্দের পাথার বয়ে যায় রে
বৃষভানুপুরে ঘরে ঘরে—আনন্দের পাথার বয়ে যায় রে
বৃষভানুজার আগমনে—আনন্দের পাথার বায় যায় রে
সুধীর বিজুরী জিনি, অঙ্গের বরণ।’’
আজ,–ভানুদুলারী নাম ধরি—আজ,–আবির্ভূতা ধীর-বিজুরী
এমন সুন্দরীর অন্ধ নয়ন—দারুণ বিধির এ কি সৃজন
এত সৌন্দর্য্য দিয়ে—কেন অন্ধ করেছে
বুঝি কিছ রহস্য আছে—কেন অন্ধ করেছে
কীর্ত্তিদা তোর বালিকা-বদন—ওর,–গড়া বিধির অদ্ভুত সৃজন
এত সৌন্দর্য্য তার মুদিত নয়ন—ওর,–গড়া বিধির অদ্ভুত সৃজন
জগতে সৌন্দর্য্য সব—একঠাঁই করেছে
ভানুদুহিতা-রূপেতে—একঠাঁই করেছে
এর,–বুঝি কিছু আছে কারণ—এত,–সৌন্দর্য্য তায় মুদিত নয়ন
কেন আঁখি মুদা আছে—বুঝি কিছু রহস্য আছে
অবশ্য ইহার রহস্য আছে।
অপরূপ শুনি যায়, সবে দেখিবারে।।’’
অপরূপ-রূপের পাথার—জন্মিয়াছে বৃষভানু-রাজার
জগতের সৌন্দর্য্য-ভাণ্ডার—জন্মিয়াছে বৃষভানু-রাজার
শুভক্ষণে কন্যা-জন্মিয়াছে বৃষভানু-রাজার
নানা উপহার লইয়া, যৌতুক ব্যবহারে।।
দেবকন্যা আসে যেন, ব্রাহ্মণীর বেশে।’’
দেবকন্যা,–বালিকা দেখিবার আশে—আসে,–ব্রজবাসিনী ব্রাহ্মণী-বেশে
নৈলে,–দেখ্বে কোন্ অধিকারে—আসে—ব্রজবাসিনী ব্রাহ্মণী-বেশে
বিনা ব্রজবণিতা—বালিকা,–দেখাইবার নাই অধিকার
ব্রজবাসীর আনুগত্য বিনা—দেখতে ত কেউ পায় না
দেবকন্যা আসি ব্রাহ্মণী-বেশে—বালিকা,–রূপ দেখে মনের হরিষে
কন্যার চাঁদ-বদন হেরে—তারা—আঁখি ফিরাইতে নারে
এ কি অপরূপ রূপ রে—মনে মনে গণে রে
যা,–যোগমায়া পৌর্ণমাসী—পথপানে আছে চেয়ে
ব্রজবিলাসিনী আস্বে কবে—পথপানে আছে চেয়ে
‘ব্রজবিলাসিনী আস্বে কবে’—
কতদিনে মিলাব শ্যাম-নবঘনে—ব্রজবিলাসিনী আস্বে কবে
দেখিবারে,–মেঘ বিজুরী একঠাঁই—মা,–যোগমায়ার প্রাণ কাঁদছে সদাই
ভাগ্যবতী কীর্ত্তিদাসুতার—শুনি অপরূপ-রূপের কথা
তবে কি এল রে
হ্লাদিনী মূরতি ধরে—তবে কি এল রে
একবার দেখে আসি গিয়ে—তবে কি এল রে
রাই রসবতী এসেছে—প্রাণে প্রাণে জান্তে পেয়ে
শ্যাম-নবঘনে মিলবার তরে—প্রাণ কেঁদে উঠ্ল রে
তাই,–‘‘যোগমায়া আসিয়া, কহিল যশোদারে।’’
নিজ-তনয়ে কোলে কর—যশোমতী চল চল
কেমন অপরূপ তনয়া—চল যাই দেখি গিয়া
বৃষভানু-পুরে,–অপরূপ কীর্ত্তিদাসুতায়—চল যাই দেখি গিয়া
নন্দরাজ-বৃষভানুর প্রতিজ্ঞা—বুঝি বা,–মনে হল যশোদার
বিবাহ দিব,–আমার তনয় তোমার তনয়ায়—বুঝি বা,–মনে হল যশোদা তাই বুঝি মনে হল
বৃষভানু-মহলে এসে—যশোদা দাঁড়াল কীর্ত্তিদা আগে
নিজপুত্র কোলে করে—যশোদা দাঁড়াল কীর্ত্তিদা আগে
কোল হতে যায় নেমে
রাধিকা-অঙ্গ-পরশ-আশে—কোল হতে যায় নেমে
অঙ্গ-গন্ধ নাশায় পশিল বুঝি,–মলয়-পবন সহায় হল
শ্রীকৃষ্ণ-অঙ্গ-গন্ধ—অমনি,–বালিকার নাশায় পশিল
লীলা-শক্তির ইঙ্গিতে—মলয়-পবন বলে দিলে
মা,–যোগমায়ার ইঙ্গিতে—মলয়-পবন বলে দিলে
যারে দেখ্বে দেখ তাকে—আর কেন আঁখি মুদে
প্রথমে,–আনের মুখ না দেখিব—রাধিকার,–আঁখির বুঝি সঙ্কল্প ছিল
বিনা আমার শ্যাম-নবঘন,–রাধিকার,–আঁখির বুঝি সঙ্কল্প ছিল
মায়ের কোল হতে নেমে—যেমনি,–যশোদা-দুলাল এল সম্মুখে
তাঁর অঙ্গ-পরশ-আশে—যেমনি,–যশোদা-দুলাল এল সম্মুখে
আমার,–দেবতার মূরতি কাছে এল—অমনি আঁখি জানতে পেল
এতক্ষণ বুজে ছিল—আঁখি এখন খুলে গেল
তার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ হল—তাই,–আঁখি এখন খুলে গেল
কৃষ্ণ তারে পরশিল—শ্রীরাধিকা চেয়ে দেখ্ল
শ্রীকৃষ্ণ-অঙ্গ-পরশ গেল—শ্রীরাধিকা চেয়ে দেখ্ল
কৃষ্ণ-দরশ-লাগি ছিল মুদা—আর আঁখি রইল না আঁধা
আর কাকেও দেখ্বে না বলে—তাই ত নয়ন মুদিত ছিল
ও-নয়নের স্বভাব নয়
দেখ্বে না সে আনের বদন
আন দেখ্ব না নয়নে
বংশী-গানামৃত-ধাম বিনে—আন দেখ্বে নয়নে
পেয়ে তার নয়ন-তারা—আঁখি হল পলক হারা
বদন হেরে হয়েছে ভোরা—সরে না রাধিকার নয়ন-তারা
এই প্রথম নয়ন মিলন—ইচ্ছা করে হয় নাই
কেউ যেন ঘটায়েছে—ইচ্ছা করে হয় নাই
যে,–সঙ্গে করে এনেছে—সেই ত ঘটায়েছে
সব,–যোগমায়ার ঘটনা—কিছু জানে না তারা দু’জনা
আর কেউ জানে না—মা,–যোগমায়ার ঘটনা
লীলা-শক্তি যোগমায়া—বসে বসে ভাবছিল
আজ সাধ মিটিল
পূর্ব্বরাগ ঘটিল—আজ সাধ মিটিল
‘পূর্ব্বরাগ ঘটিল’—নয়নে নয়নে মিলন—পূর্ব্বরাগ ঘটিল
এই,–পহিলহি মিলনে—কি আনন্দ যোগমায়ার মনে
যদুনন্দন-দাস নব-পূর্ব্বরাগ ভণে।।’’
শ্রীরাধাগোবিন্দ-লীলার—এ যে,–পহিলহি রাগ রে
নয়নে নয়নে মিলন—এ যে,–পহিলহি রাগ রে
‘নয়নে নয়নে মিলন’—
বৃষভানু-দুলালী নন্দ-দুলালের—নয়নে নয়নে মিলন
মা,–যোগমায়া ঘটাইল—এ যে,–পহিলহি রাগ রে
অবধি ত কেউ পাবে না—দিনে দিনে বাড়্বে
নব নব নব হয়ে—দিনে দিনে বাড়্বে
ও,–ব্র্জ-ভরিয়া রে ! ব্রজ-ভরিয়া রে !!
‘‘আজু,–কি আনন্দ ব্রজ-ভরিয়া রে।
নববাস-ভূষা পরি, ধাওত গোপনারী রে,’’
বৃষভানু-পুরে-নারীর—আনন্দ আর ধরে না রে
কীর্ত্তিদা-নন্দিনী হেরে—আনন্দ আর ধরে না রে
চলে যেতে নেচে যায় রে—আনন্দ আর ধরে না রে
বালিকা-বদন হেরি—নাচত গোপনারী
কিবা অপরূপ-সাজে, প্রবেশে ভবন-মাঝে রে,’’
বৃষভানু-নৃপমণি, আপনা মানয়ে ধনী রে,
বালিকা-বদন-বিধু হেরিয়া রে।।’’
অমূল্য-রতন পেয়ে—আনন্দ আর ধরে না রে
নাচে সব গোপ তায় ঘেরিয়া রে।’’
আনন্দময়ীর আগমনে—সবার,–আনন্দ অরা ধরে না রে
কেউ ভাসিল কেউ ডুবিল—আনন্দ-সিন্ধু উথলিল
বসন উড়ায় ফিরে ফিরিয়া রে।।
ঘৃত দধি দুগ্ধ সহ, হরিদ্রা-সলিল কেহ রে,
ঢালে কারু মাথে ছল করিয়া রে।
মুখরার সাধ কত, করয়ে মঙ্গল তত রে,
আজু,–কি আনন্দ ব্রজ-ভরিয়া রে ।
ও,–ব্রজ-ভরিয়া রে ! ব্রজ-ভরিয়া রে !!
আজু,–কি আনন্দ ব্রজ-ভরিয়া রে।’’
‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’
শ্রীগুরুপ্রেমানন্দে নিতাই-গৌরহরি বোল।