”সোণার বরণখানি মলিন হইয়াছ তুমি
হেলিয়া পড়েছ যেন লতা।
অধর বান্ধুলী তোর নয়ান চাতক ওর
মলিন হইল তার পাতা।।
বরণ বসন তায় ঘামে ভিজে এক ঠায়
চরণে চলিতে নার পথে।
উতাপিত রেণু তায় কত না পুড়িছে পায়
পশরা বাজিলে তায় মাথে।।
রাখহ পশরাখানি নিকটে বৈঠহ তুমি
শীতল চামর দিয়ে বা।
শিরীষ কুসুম জিনি সুকোমল তনুখানি
মুখে না নিঃস্বরে এক রা।।”
বসিয়া রসিক রায় বলয়ে বুটিয়া তায়
হাসি রাধা বলিছে বড়াইয়ে।
চণ্ডীদাস শুনি দেখি শুনহ কমলমুখি
বৈস ক্ষেণে কদম্বের ছায়ে।।