অসকালে গেলাম যমুনার কূলে।
বঁধূরে হেরিলাম নীপ তরুমূলে।।
দলিতাঞ্জন চিকণ রূপ।
আ মরি মরি রসের ভূপ।।
কেনে সে রূপে সখী দিলাম আঁখি।
নয়ন মন মোর হইল পাখী।।
উড়িয়া বসিলাম সে রসকূপে।
আঁখি প্রাণ মোর হারাইল রূপে।।
নবীন মেঘেতে বিদ্যুৎছটা।
হস্তে পদে দেখি চাঁদের ঘটা।।
মুখানি দেখিলাম পূর্ণিমার চাঁদ।
তরুণীর মন নয়ন ফাঁদ।।
ত্রিভঙ্গ হইয়া দাঁড়ায়ে আছে।
পাঁজর কাটিয়া হৃদয়ে নাচে।।
মন মুরছি মরিয়াছিল।
কাঁখের কলসী খসিয়া গেল।।
অস্থির ঘরেতে আসিতে নারি।
আঁধুয়া হইয়া পথেতে ফিরি।।
কেহ সঙ্গে নাই মাত্র একাকি।
অসকাল হইল করিব কি।।
অনুসারে যদি আইলাম ঘরে।
কলসী না দেখি ভর্ৎসনা করে।।
গেহ হইল মোর দুর্গম বন।
কি করি সখী ঘরে না রহে মন।।
দুর্গম বনেতে সব জন্তু রয়।
গেহ বনে মোর গুরুজনার ভয়।।
সে কালা বিনে আমার প্রাণ না রয়।
ফুকারি কহিবার সে কথা নয়।।
স্বর্ণলালি কহে শোনহে ধনি।
কানুর প্রেমে তুমি হও শিরোমণি।।
চল অভিসারে রাজারি বালা।
যতনে আনিয়া মিলাইব কালা।।