আজুক শয়নে ননদিনী সনে
শুতিয়া আছিনু সই।
যে ছিল করমে বঁধুর ভরমে
মরম তোমারে কই।।
নিঁদের আলিসে বঁধুর ধাধসে
তাহারে করিনু কোড়ে।
ননদী উঠিয়ে বলিছে রুষিয়ে
‘বঁধুয়া পাইলি কারে।।
এত টীটপনা জানে কোন জনা
বুঝিনু তোহারি রীতি।
কুলবতী হয়ে পর পতি লয়ে
এমতি করহ নিতি।।
যে শুনি শ্রবণে পরের বদনে
নয়নে দেখিনু তাই।
দাদা ঘরে এলে করিব গোচর
ক্ষণেক বিরাজ রাই।।’
নিঠুর বচনে কাঁপিছে পরাণে
মরিয়া রহিনু লাজে।
ফিরাইয়া আঁখি গরবেতে থাকি
সঘনে আমারে যজে।।
এক হাতে সখি কচলিয়া আঁখি
নয়ানে দেখি যে আর।
চণ্ডীদাসে কয় কিবা কুলভয়
কানুর পীরিতি যার।।