আজু কেন প্রাণ সখি মন উদাসীন রে।
হরি লাগি প্রাণ মোর কী যে সারাদিন রে।। ধুয়া
বৃন্দাবনে সখি সনে বিনোদিনী রাই।
আনন্দে বিভোর হই সখি মুখ চাই।।
হেনঞি সময় ঋতু বসন্ত উদয়।
মদন ভূপতি রঙ্গে চাপনা খেলায়।।
কামধনু সষ্ট রিপু মলয়া হিলনে।
পবন গমন তাহে দ্বিগুণ তাড়নে।।
ভ্রমরা কোকিলা পাখী মউর মঊরী।
কুহু কুহু কংকারয়ে মুখে বলে হরি।।
মউরি মঊয়ের মুখ হেরে ফিরি ফিরি।
(পুনঃ পুনঃ) আলিঙ্গন দোহা দোহে করি।।
বৃকভানু সুতা কহে সহচরী মাঝ।
যাবহু কুঞ্জে আমি যাহাঁ রসরাজ।।
এই দিন কোন বিধি করিল সৃজন ।
অলসে অবশ অঙ্গ বিনে নারায়ণ।।
কাহাঁ মেরা নটবর কোন কুঞ্জে বৈঠে।
বিনোদ বংশারি হাতে বিনোদিয়া বেশে।।
ঘেরি ঘেরি মোরে বেড়ি রহ সহচরি।
উড়ু উড়ু প্রাণ করে দেখাও মোরে হরি।।
ললিতা বিশাখা আদি আর চম্পকলতা।
কুঞ্জবনে কানু সনে মিলায় রাজসুতা।।
নটবর মুখ হেরি কমলিনী কয়।
নবীন নীরদ রূপ হেরি শ্যামরায়।।
নবীন নেহারি কুঞ্জ নবীন পাতা।
নবীন মালতী পুষ্প নব ফলে গাথা।।
নব নব বৃক্ষ হেরি মুঞ্জরয়ে ভালো।
বিকশিত ফুল ফলে কুঞ্জবন আলো।।
নবীন কোকিলগণ মধুর মধুর স্বরে।
রাধাকৃ্ষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলি গান করে।।
নরোত্তম দাসের আশা পূরাও মুরারি।
অন্তকালে হই যেন তব সহচরী।।