সাধের বন্ধুয়ারে হিয়া দহে প্রাণে স্মরি, গলায় বান্ধিয়া প্রেম ডুরি।
আমি কলঙ্কিনী নারী, নগরে বাজারে ফিরিরে ও বন্ধু প্রেম ভাবে হৈয়া ভিখারী।
ফিরি আমি ঘরে ঘরে দরশন দেও মোরে ও বন্ধু বিরহ সহিতে না পারি।
কদম ডালে বাজাও বাঁশী শুনি আমি কর্মনাশী ও বন্ধু ডাকি বসি তোর নাম ধরি।
শুনিয়া বাঁশীর ধ্বনি উলচিত হইল প্রাণী ও বন্ধু উদাসিনী হৈয়া আমি ফিরি।
বিনয়েতে বলি তোরে ছাড়িয়া না যাও মোরে ও বন্ধু তোর প্রেমে ঝুরিয়া যে মরি।
যোগীরূপ বেশ হৈয়া ধুড়ি আমি প্রিয়া প্রিয়া, ও বন্ধু ভ্রমণায় করি অন্বেষণ ।
রসিক হইল যারা প্রেমের প্রেমিক তারা ও বন্ধু প্রকাশ করয়ে চান্দ রূপ।
জবরুতে প্রবেশে যেই স্বরূপে পৌঁছিবে সেই ও বন্ধু দরশনে আঁখি হইবে নুরি।
প্রেম ডুবি দিয়া গলে সোনাপুরে গিয়া মিলে ও বন্ধু সব হয় মুকুন্দ মুরারী।
সোনারপুরে বসি ডাকে তথায় সুন্দর পংখিয়েরে ও বন্ধু জপে নাম হইয়া একাসরি।
ইপানে ডুবিলে যে জবরুপে পৌঁছে সেই ও বন্ধু ভুবন মন্দির সেই ঠাঁই ।
জবরুতে হয় ধ্বনি ছিরিপুরে শব্দ শুনি ও বন্ধু সেরগঞ্জে পাখীয়ে জপে নাম।
লাহুতে অপরূপ ছবি ব্রজখে মোস্তাফা নবী ও বন্ধু পিরের বজ্জকি হয় ফানা।
লাহুত মারুত ছুটে ইন্দ্রের বরণ হইয়া উঠে ও বন্ধু জবরুতে বজ্জকে সুর ধ্বনি।
বৃক্ষেতে বসিয়া অলি পুষ্পেতে শতেক কলি ও বন্ধু পিউ পিউ করে মকরন্দ।
পশু পংখি যত জাতে নিজ নামে জপে সবে ও বন্ধু শুকনা কাষ্ঠে ফোটে ফুল কত।
লাহুতের মঞ্জিলেতে বেলওয়ারি দালানেতে ও বন্ধু বিরাজ করইন মোস্তাফায়।
অপরূপ কাহিনী মুকাম কাম মাহমুদা নাম ও বন্ধু রূপে রূপে তরঙ্গ খেলায়।
শিতালং ফকিরে কহে প্রাণিদহে প্রেমানলে ও বন্ধু প্রেমভাবি হৈয়া আমি ঝুরি।