এক ব্রজ নারী কাখে কুম্ভ করি
দেখিলুঁ যমুনা যাত্যে।
তার রূপ সীমা কি দিব উপমা
বিজুরী পড়িছে পথে।।
মাঝা অতি খীণ ঈষত হিলন
নূপুর শোভিছে পায়।
আমা পানে চায়্যা ঈষত হাসিয়া
পড়িল সখীর গায়।।
সেই হৈতে মন নহে সম্বরণ
কি জানি কি কৈল মোরে।
ভুরু-কাম-ধনু দিয়া প্রেমগুণ
বিন্ধিল নয়ন-শরে।।
যাহ যাহ দূতি যথা রসবতী
বিলম্ব না সহে তোরে।
শুনল সুন্দরি নবীন কিশোরী
আনিয়া মিলাহ মোরে।।
আমার বচনে ধরিবা চরণে
লইয়া অমার নাম।
কহিতে কহিতে রাই উঠি চিতে
অমনি পড়িল শ্যাম।।
শ্যামের আরতি লৈয়া গেলা দূতী
বসিলা রঙ্গিনী পাশ।
সে সব বচন করে নিবেদন
কহে নরোত্তম দাস।।