করি করযোড় কহিতে লাগিল —
“শুনহ বচন মোর ।
কংস দুরাচার করে অবিচার
ভারেতে হইল ভোর।।
দুষ্ট দুরাচারে সকলি সংহারে
তোমার যতেক সৃষ্টি ।
সংহারে সকল হইয়া বিকল
দেখিল আপন দৃষ্টি।।
তোমার সৃজন,
যজ্ঞ তপদান সবো করে আন
হিংসাতে সকলি নাশে।
বেদ অধ্যয়নে কিছুই না মানে–,
বড়ই পাইয়া ত্রাসে ।।
তোমার সৃজন এ সব ভুবন
সে সব করএ দূর।
গোব্রাহ্মণ করএ হিংসন
দুর্জ্জন বড়ই অসুর ।।
এতেক সংসার আর পারাপার
মোর দুঃখ কর দূর ।”
একথা শুনিঞা ব্রহ্মা শূলপাণি
কহেন উত্তর বোল।।
“ইহার উপায় আছএ কারণ
কহিব বচন ওর।।”
কহে শূলপাণি ‘শুনহ ধরণি,
তোর ভার হব দূর।
অসুর সংহারি ভার দূর করি
কহিমু ইহার ওর।।”
চণ্ডীদাস বলে– “শুন দুইজনে
ইহার উপায় বল।
যেমত ধরণী মনে সুখ মানি
সকল হইএ ভাল।।”