কাঞ্চন বরণী কে বটে সে ধনী
ধীরে ধীরে চলি যায়।
হাসির ঠমকে চপলা চমকে
নীল শাড়ী শোভে গায়।।
দেখিত বদন মোহিত মদন
নাসাতে দুলিছে দুল।
সুবিশাল আঁখি মানস ভাবিয়া
ছুটিছে মরাল-কুল।।
আঁখিতারা দুটি বিরলে বসিয়া
সৃজন করেছে বিধি।
নীল পদ্ম ভাবি লুবধ ভ্রমরা
ছুটিতেছে নিরবধি।।
কিবা দন্তভাতি মুকুতার পাঁতি
জিনিয়া কুন্দক ঝুঁড়ি।
সীঁথার সিন্দূর জিনিয়া অরুণ
কানে কর্ণবালা ঢেঁঢ়ি।।
শ্রীফলযুগল জিনি কুচযুগ
পাতলা কাঁচালি তাহে।
তাহার উপর মণিময় হার
উপমা কহিব কাহে।।
কেশরী জিনিয়া কৃশ মাঝাখানি
মুঠে করি যায় ধরা।
গজকুম্ভ জিনি নিতম্ব বলনি
ঊরু করিকর পারা।।
চরণ যুগল জিনিয়া কমল
আলতা রঞ্জিত তায়।
মঝু মন তাহে কাহে না ভুলব
মদন মূরছা পায়।।
কাহার নন্দিনী কাহার রমণী
গোকুলে এমন কে।
কোন্ পুণ্যফলে বল বল সখা
সে রামা পাইল সে।।
চণ্ডীদাস বলে ভেব না ভেব না
ওহে শ্যাম গুণমণি।
তুমি যে তাহার সরবস ধন
তোমারি আছে সে ধনী।।