কুবের পণ্ডিত অতি হরষিত
দেখিয়া পুত্রের মুখ।
করি জাতকর্ম্ম যে আছিল ধর্ম্ম
বাঢ়য়ে মনের সুখ।।
সব সুলক্ষণ বরণ-কাঞ্চন
বদন-কমল-শোভা।
আজানুলম্বিত বাহু সুবলিত
জগ-জন-মন-লোভা।।
নাভি সুগভীর পরম সুন্দর
নয়ন কমল জিনি।
অরুণ চরণ নখ-দরপণ
জিতি কত বিধুমণি।।
মহাপুরুষের চিহ্ন মনোহর
দেখিয়া বিস্ময় সভে।
বুঝি ইহা হৈতে জগতে তরিবে
এই করে অনুভবে।।
যত পুরনারী শিশু-মুখ হেরি
আনন্দ-সায়রে ভাসে।
না ধরয়ে হিয়া পুন পুন গিয়া
নিরখয়ে অনিমেষে।।
তাহার মাতারে করে পরিহারে
কহে হেন সূত যার।
তার ভাগ্য সীমা কি দিব উপমা
ভুবনে কে সম তার।।
এতেক বচন সব নারীগণ
কহে গদগদ ভাষা।
জগত-তারণ বুঝল কারণ
দাস বৈষ্ণবের আশা।।