কেহ কোথা রহে কানুর বিরহে
ধূলায়ে ধূসর তনু।
“গোকুল ছাড়িয়া অনাথ করিয়া
কোথারে যাইবে কানু।।
কে আর করিব দয়া-মোহ অতি
কারে সে করিব মান।
আর না শুনিব শ্রবণ পূরিয়া
মধুর বাঁশীর তান।।”
ইহাই বলিয়া বরজ রমণী
পড়ল কতহি ঠামে।
উচ্চস্বর করি কাঁদে ব্রজনারী
করিয়া যাহার নামে।।
কেহ রথ হাতে ধরিয়া রহয়ে
কেহ কারে নাহি দেখি।
কেহ কার পানে চাহিয়া বদনে
লোরে না দেখয়ে আঁখি।।
ধরণী উপরে চিত্রের পুথলি
বরজ রমণী ধনী।
নাহিক নিশ্বাস নাহি কোন ভাষ
কপালে দু’কর হানি।।
কেহ কার অঙ্গে অঙ্গ পরশিয়া
পড়ল ঐছন গতি।
কোথায়ে পড়ল আভরণ-ভার
তাহা সে না জানে রীতি।।
কেহ বা যমুনা- কিনারে পড়ল
যেখানে উঠিল রথ।
সেখানে রহল যত গোপনারী
আগুলি রহল পথ।।
কেহ কার মুখে বারি ঢারি দেই
চেতনা নাহিক হয়ে।
ঊর্দ্ধবাহু করি ধূলায়ে পড়িয়া
চণ্ডীদাস তঁহি রহে।।