কোন নাম জপে গো শ্যাম বন্ধের বাঁশী জান কিগো প্রাণ সজনী
বাঁশীর মাঝে যাদুর ফাঁসী আমার নিল গো পরাণী।
যেই নাম বাঁশীয়ে বলে সেই নামের ভেদ পাইলে গো
এগো লাহুতের তালা খোলে অন্ধকার হয় রৌশনি।
এই নাম পাশরিলে মরণ হইব সেই কালে গো
এগো জাতি আর ছিফতি নুরে ঐ নামের ভেদখানি।
ত্রিপুন্নিয়ার ঘাটে বসি কালাচান্দে বাজায় বাঁশী গো
এগো বাঁশীর স্বরে প্রাণী হরে করিল মোরে উদাসিনী।
দারুণ বাঁশীর স্বরে রহিতে না পারি ঘরে গো
এগো মনে লয় দেখিতাম গিয়া সঙ্গে বৈরী ননদিনী।
কুলমানে দিছি কালি অলঙ্কার লোকের গালি গো
এগো নাই রে আমার লাজ ভয় দৈবে রাধা কলঙ্কিনী।
প্রাণের দুতী বলি তোরে আনিয়া দে মোর প্রাণ বন্ধুরে
এগো জিতে না হইলে দেখা মইলে আর পাইমুনি।
শ্যামচান্দে বাজায় গো বাঁশী কিবা দিবা কিবা নিশি গো
এগো ”কাফ্” আর ”নু” হরফে সংসার হইল জানি।
দমে নামে মিলন করি বাঁশীর উপর ধ্যান করি গো
এগো দেখ চাইয়া তোর লা মোকামে বিরাজ করে নীলমণি।
ফকির রহিমুদ্দিন বলে প্রাণ থাকিতে প্রাণ না দিলে গো
এগো যে হইছে পিরিতের মারা সে পাইছে শ্যাম গুণমণি।