কোন সখী নৃত্যগীতে শ্রান্তিযুক্ত হয়া।
কুচ ভার কর পদ আর পায় লয়া।।
কপাল কুণ্ডল স্বর্ণে শ্বেত উৎপল।
সর্ব্বাঙ্গ ভিজিয়া গেল নিজ অঙ্গ জল।।
এইরূপে গোয়ালিনী লৈয়া বনমালী।
মোহিয়া আপন রঙ্গে করে নানা কেলি
যেন সীধু পরিহাস লৈয়া নিজ ছায়া।
তেন নিজ রঙ্গেতে রঙ্গিণী ব্রজমায়া।।
শত শত গোপনারী মাঝে এক কানু ।
তুষিয়া প্রেমের রসে হৈয়া তত তনু।।
আয়াস আলিস হৈল যতেক গোপিনী।
কবরি খসিয়ে পুষ্প পড়িছে ধরণী।।
অবিরত ক্ষিতি নিপতিত তরুলতা।
যতেক করয়ে কেলি কি কহিব কথা।।
দেখিয়ে সে সব কেলি অমল নাগরি।
কামে অচেতন হয়ে সভে পড়ে ঢলি।।
পরম মোহিত চন্দ্র দেখিয়া নয়ানে।।
বিস্ময় হৃদয় হৈয়া রহিলা গগনে।।
তবে হরি শ্রমযুক্ত হেরি নারিগণ।
নিজ করে ধরি মুখ করেন মার্জ্জন।।
কর পরশনে গোপী পাইল পিরিত।
অনুগত হরি বুঝি হৈল হরষিত।।
শ্রম বিমোচন হেতু নন্দের কুমার।
চলিলা অবলা সঙ্গে যমুনা বিহার।।
কুঙ্কুম রঞ্জিত রহে গন্ধ দশদিগ।
মত্ত মধুকর সব বেষ্টিত চৌদিগ।।
সবে এক গোপাল সমূহ গোপনারি।
একমেলি হয়ে ধায় নানা রঙ্গ করি।
গোবিন্দদাস কহে শুনহ নগোরি।।