গৌর গোবিন্দগুণ শুন হে রসিক জন
বিষ্ণুমহাবিষ্ণুপর পঁহু।
যাঁর পদনখদ্যুতি পরম ব্রহ্মের স্থিতি
সুরমুনি গণের প্রাণ তহুঁ।।
অন্তরে বরণ ভিন্ন বাহিরে গৌরাঙ্গ চিহ্ন
শ্রীরাধার অঙ্গকান্তি রাজে।
শতদল কমল হেমকর্ণিকার মাঝে
বিহরই চারি দ্বারী সাজে।।
গোলোক বৈকুণ্ঠ আর শ্বেতদ্বীপ নামে সার
আনন্দ অপার এক নাম।
বাসুদেব সঙ্কর্ষণে প্রদুম্নাানিরুদ্ধ সনে
চারি দিকে সাজে চারি ধাম।।
ক্ষীরোদসাগরজলে ভুজঙ্গরাজের কোলে
যোগনিদ্রা অবলম্বি লীলা।
তাহে সব অবতরি শ্বেতদ্বীপ অধিকারী
অনন্ত নিত্যানন্দ খেলা।।
সহস্র মুকুট সনে সহস্র সহস্র ফণা
লুলিয়া লুলিয়া পড়ে সুখে।
প্রতিফণে দ্বিজিহ্বায় গৌরচন্দ্র গুণ গায়
পাদপদ্ম মহালক্ষ্মী বুকে।।ধ্রু।।
দশশত ফণিমণি মুকুটের সাজনি
শ্বেত অঙ্গে ধরে নানা জ্যোতি।
কত কত পারিষদে সনক সনাতনানন্দে
দেব ঋষিগণে করে স্তুতি।।
যাঁর এক লোমকূপে কতেক ব্রহ্মস্বরূপে
নামেতে সৃজে সব প্রজা।
রাম আদি অবতার অংশে পরকাশ যাঁর
সে সব ব্রহ্মাণ্ডের যেঁহো রাজা।।
এ হেন অনন্তলীলা মায়ায় কত সৃজিলা
শ্রীরাধার কটাক্ষবাণ তূণে।
ব্রহ্মাণ্ড উপরি ধাম শ্রীবৃন্দাবন নাম
গুণগান করে বৃন্দাবনে।।