ঘামিয়াছে চান্দ মুখখানি।
দে দে পশরা আনি
যার লাগি বিকিকিনি
সেই খাউক ক্ষীর সর নবনী।।
এত কহি কৃষ্ণমুখে
ননী দিল মহাসুখে
সখী দিলা রাধার বদনে।
ভোজন হইল সায়
আচমন কৈল তায়
প্রসাদ লইল জনে জনে।।
আর আমি ফিরিয়া ঘরে
যাব না গো একেবারে
(যাদের) কুলের ভয় তারা যাউক ঘরে।
প্রাণ যদি ছাড়ি যাবে
ঘর লয়ে কিবা হবে
ঘরে যেতে বোলো না গো মোরে।।
তোদের যদি আজ্ঞা পাই
শ্যামচান্দের বামেতে যাই
অঙ্গের আভরণ নে গো খুলে।
আমায় সাজায়ে দে শ্যামদাসী
সে বেশ বড় ভালবাসি
রহি গেলাম এই তরুঁমূলে।।
ঘরে গিয়া ইহাই বোলো
দানঘাটে রাই বিকাইল
যার রাধা হইল তাহার।
রাধা নাম ধরি যেন
তিলাঞ্জলি দেয় মেন
সুশীতল জলে যমুনার।।
এত বলি মহাসুখে
দুঁহু হেরে দুঁহু মুখে
সুখের সায়র মাঝে ভাসে।
দুঁহু রূপ সুমাধুরী
হেরিয়া নয়ন ভরি
গুন গায় বৃন্দাবন দাসে।।